সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ লালাবাজারে একটি নিরীহ পরিবারের উপর পৈশাচিক নির্যাতনের অভিযোগ

7

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে একটি পরিবারের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের ভূমি দখলের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। নিজেদের জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন এ পরিবারকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন লালাবাজার ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর ছেলে ইছন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার প্রতিবেশী আরফান আলী উরফে জহুর আলীর পুত্র জালাল মিয়া, জয়নাল মিয়া, ফয়সল মিয়া ও তাদের সহযোগীরা ঘর -বাড়ী জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে বারবার হামলা করছে। এদের কর্মকান্ডে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ নিরুপায় হয়ে পড়েছে। জালাল ও তার সহযোগীদের ধারা ৪টি পরিবার বারবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
ইছন মিয়া বলেন, ফরিদপুর মৌজার ১৫২ নং জেএল এর ৭১৪০ নং দাগে মোট ৩১ শতক ভূমির মালিক আমার ভাই আফতাব আলী। এই ভূমিতে আমরা দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে জালাল গংরা বাঁধা দেয় এবং হামলা চালায়। বাড়ির জায়গা জমি নিয়ে জালাল গংদের সাথে তাদের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এই ভূমির বিরোধকে কেন্দ্র করে জালাল গংরা তাদেরকে ফাঁসাতে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তিনি বলেন, জালালের ভাই জয়নাল বাদী হয়ে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এই মামলার সূত্র ধরে উভয় পক্ষকে নিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি বৈঠক হয়। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম তালুকদারের মধ্যস্থতায় বৈঠকে আমাদের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ করানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরে এসআই লোকমান ও লিটনের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার জরিপ কাজ শেষ করেন। জরিপ শেষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বলেন এবার আপনি দেয়াল নির্মাণ করতে পারেন। কিন্তু জালাল গংরা ক্ষুব্ধ হয়ে থানার বৈঠক থেকে চলে যায়। আমরা গত ২২ মার্চ এই ভূমিতে দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করলে তারা হঠাৎ করে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে নির্মাণ কাজ ভেঙ্গে ফেলে এবং নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায়। এ ঘটনার পুরো ভিডিও সংরক্ষিত আছে। পরে ৯৯৯ এ কল করলে দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই শাফি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু পুলিশের সামনেই তারা আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরদিন আমি দক্ষিণ সুরমা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এই জালাল মিয়া আমাদেরকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে একটি ভয়ংকর নাটক সাজায়। জালালের পুত্র এহসানুল হক (১০) কে আমার নাতি জামিল (১৮) বলৎকার করেছে এরকম একটি লজ্জানক ভুয়া অভিযোগ এনে ১২ জানুয়ারি থানায় মামলা দায়ের করে। এই মিথ্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে গত বছরের ৩০ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এছাড়া লন্ডনে অবস্থানরত আমার ভাতিজা আঙ্গুর মিয়াকে জালাল ও তার ভাইয়েরা হুমকি দিয়ে বলেছে, দেশে আসলে মেরে টুকরো টুকরো করে ফেলবে। তারা আমার ভাতিজা আঙ্গুর মিয়ার সম্পদটুকুও দখল করে নিতে চায়। সংবাদ সম্মেলনে ইছন মিয়া এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার ও র‌্যাব ৯ এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।