সিলেটে সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিতর্কিত বক্তা তাহেরীর মামলা, আসামী ১৫

9
মামলা দায়ের করার পর গিয়াস উদ্দিন তাহেরি সিলেট আদালত চত্বরে। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার  :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন আলোচিত, সমালোচিত ও বিতর্কিত বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। এতে আসামি করা হয় ১৫ জনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে তিনি এ মামলা করেন। ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. আবুল কাশেম মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন। এ মামলায় ৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে মুফতি তাহেরী আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলার শুনানী করেন এটিএম ফয়েজ উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমান ও আইনজীবী মো. জাবের হোসাইন।
মামলায় আসামীরা হলেন, বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারী জয়নাল আবেদীন, সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারি নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, হবিগঞ্জ লাখাই মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, তপু তরফদার, নিজাম আহমেদ আকরাম, নিজাম উদ্দিন সিদ্দীকি, একে মিডিয়া সিলেট, নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, বি-বাড়িয়া জেলার আখাউড়া তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, বি-বাড়িয়া চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এস, এ শামিম ও টিটিভি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অগ্রিম টাকা নিয়ে সিলেটের বালাগঞ্জে একটি মাহফিলে না আসার অভিযোগ ওঠে তাহেরীর বিরুদ্ধে। আয়োজক কমিটি এ বিষয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাহেরীর পক্ষ থেকে দাওয়াত রাখা এবং দুই ধাপে ৩৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। এই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তাহেরী মামলার আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন তাহেরী সাংবাদিকদের বলেন, আমি বালাগঞ্জের মাহফিলের কোনো দাওয়াত পাইনি। জানি না কারা আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমার নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে আমাকে গালিগালাজ এবং আমার নামে টাকা নেওয়ার অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি।
অভিযোগের বিষয়বস্তু তুলে ধরে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর এপিএস পরিচয়ে প্রতারণা করে মাহফিলের আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রীম ৩৩ হাজার টাকা নেন। ওয়াজের দিন তাহেরীর উপস্থিতি না দেখে মানুষ ক্ষেপে যায়। অথচ কোনো যোগাযোগই করা হয়নি। এরপর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গালিগালাজ করা হয়। এসব কারণে তিনি মামলা করেন।