মসজিদে মসজিদে ইবাদত-বন্দেগির মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালিত

3
পবিত্র শবে বরাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে বিশ^ উম্মাহর শান্তির জন্য মোনাজাতরত মুুসল্লিদের একাংশ। ছবি- মামুন হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার :
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও সিলেটের মসজিদে মসজিদে জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের সৌভাগ্যের রজনীর দিন পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করেছেন।
মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সিলেটের বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া-খায়েরে শামিল হয়েছেন। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি মুসলিম ঘরে নারী ও শিশুরা কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুলে রাতটি অতিবাহিত করেন। বাসাবাড়ি এবং মসজিদে মসজিদে রাতভর চলে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগি।
বিশেষত সিলেটের শাহজালার (রহ.) মাজার ও শাহপরান (রহ.) মাজারে মুসল্লিদের ভিড় ছিলো লক্ষ্যনীয়।
উল্লেখ্য, আরবি মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাতকে সৌভাগ্যের বা মুক্তির রজনী বলা হয়। এ রাতকে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘লাইলাতুম মিন নিসফি শা’বান’। রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ তাআলা এই রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুলভ্রান্তি ও পাপের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন। ইবাদত-বন্দেগি ছাড়াও এদিন মৃত স্বজনদের কবর জিয়ারতও করেন মুসলমানগণ।