তাহিরপুরে শিক্ষক শূন্য এক প্রাথমিক বিদ্যালয় !

3

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
শিক্ষক শূন্য তাহিরপুরে এক প্রথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের নাম শরীফপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে অবস্থিত। হাওর বেষ্টিত উপজেলায় এমনিতেই প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা নাজুক। তার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষক বিহীন বিদ্যালয় বলে দেয় হাওরের প্রাথমিক শিক্ষার দুরাবস্থা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদালয়ে ৫টি শিক্ষকের সৃষ্ট পদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ১৭ মার্চের পূর্বে শরীফপুর সরাকরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন। ঐ সময় ২ জন শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান। পরবর্তীতে ১ জন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকেন। সম্প্রতি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কর্মরত প্রধান শিক্ষক উৎফল কুমার তালুকদার ডিপিএড দেয়ার জন্য সুনামগঞ্জ চলে যান দেড় বছরের জন্য। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষক শূন্য হয়ে পরে। পরবর্তীতে এখন পর্যন্ত কোন শিক্ষক দেয়া হয়নি বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেণীতে অধ্যায়ন রত আছে।
বিদ্যালয় ছাত্র অভিভাবক বিদু ভুষন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে একজন শিক্ষক কোন রকম বিদ্যালয় খোলা ও বন্ধরে কাজটি করছিলেন। কিন্তু গত জানুয়ারি মাস হতে সেটিও বন্ধ আছে। শুনেছি প্রধান শিক্ষক ট্রেনিং এ চলে গেছেন।
শরীফপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিজয় তালুকদার বলেন,২০২০ সাল হতে বিদ্যালয়ে ১ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। এই এক জনকেও জানুয়ারি মাস হতে ডিপিএডএ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টি শিক্ষক শূন্য আছে।
শরীফপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক উৎফল কুমার তালুকদার বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে আমি জানুয়ারি ২০২২ হতে ডিপিএডএ আছি। তিনি আরও জানান, ডিপিএডএ যাওয়ার সময় শাপলা রানী তালুকদার নামের একটি মেয়েকে তিনি স্কুল দেখে শুনে রাখার জন্য মৌখিক ভাবে দায়িত্ব দিয়ে যান।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ক্লাস্টার অফিসার বিপ্লব সরকার বলেন, একজন শিক্ষক পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আব্দুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকও কর্মরত নেই বিষয়টি আমাকে অবহিত করার কথা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কিন্তু তারা তা করেনি। আপনি জানিয়েছেন বিষয়টি আমি দেখছি।