সিলেট চেম্বারের প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে চরম হট্টগোল ও উত্তেজনা

47

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট চেম্বারের প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চরম হট্টগোল ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। শেষ পর্যায়ে এ নিয়ে দুই প্যানেলের নির্বাচিত পরিচালক ও নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হন।
শনিবার চেম্বার নির্বাচনে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ ও ব্যবসায়ী পরিষদের ফল হয় সমানে সমান। অর্থাৎ ২২ পরিচালকের মধ্যে উভয় প্যানেলেরই ১১ জন করে পরিচালক নির্বাচিত হন। আর তাতেই দেখা দেয় জটিলতা। ঝুলন্ত হয়ে যায় প্রেসিডিয়ামের সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ৩টায় নতুন পরিচালকদের ভোটে চেম্বারের প্রেসিডিয়াম বডি গঠনের কথা ছিলো। সকাল থেকে নানা কানাঘুষার পর বিকেল ৩টায় প্রেসিডিয়াম গঠন নিয়ে শুরু হয় বৈঠক। রাত ৮টা পর্যন্ত টানা বৈঠক চলে। কিন্তু পক্ষই ছাড় না দেয়ায় সমাধান হয়নি। এ অবস্থায় রাত ৯টা পর্যন্ত মুলতবি হয় বৈঠক। ৯টার পর ফের শুরু হয় মুলতবি বৈঠক।
সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের পক্ষ থেকে সভাপতি পদে আব্দুর রহমান জামিল, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে জিয়াউল হক ও সহ সভাপতি পদে হুমায়ুন আহমদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পক্ষ থেকে সভাপতি পদে এটিএম শোয়েব, সিনিয়র সহ সভাপতি পদে তাহমিন আহমদ ও সহ সভাপতি পদে ফালা উদ্দিন আলী আহমদ রয়েছেন।
রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে আব্দুর রহমান জামিল ও হুমায়ুন আহমদের প্রার্থীতা নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছেন। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চেম্বার ভবণের নিচে জড়ো হতে থাকেন দু’টি প্যানেলের অন্তরালে কাজ করা ক্ষতাশিন দলের জেলা ও কেন্দ্রীয় দুই নেতার কর্মী সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা। এ সময় অনেকে শ্লোগানও দেন। সিলেট চেম্বারের প্রেসিডিয়াম গঠণে এমন নাটকীতায় ক্ষোপ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ীদের অনেকেই। তারা বলেন, সিলেট চেম্বারের ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। তারা বলেন এর মধ্যে দিয়ে সিলেটের ব্যবসায়ীদের সর্ববৃহত এ প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতি করণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বিপুল সংখ্যক পুুলিশ চেম্বার ভবনের নীচে অবস্থান নেয়।