অবশেষে পাকিস্তান দলে শোয়েব মালিক

5

স্পোর্টস ডেস্ক :
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার পর থেকেই উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। বর্তমান-সাবেক মিলিয়ে অনেক ক্রিকেটারই মেতেছিল স্কোয়াডের সমালোচনায়। এমনকি খবর হয়েছিল, খোদ পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমেরও পছন্দ হয়নি স্কোয়াড।
পাকিস্তান বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আজম খান, খুশদিল শাহ সহ কয়েক জনের দলে থাকা নিয়ে। বিপরীতে অনেকেই তাদের পরিবর্তে দলে চাইছিলেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক ও সরফরাজের মতো কয়েকজন ক্রিকেটারকে। অবশেষে সেটাই ঘটল। বড় রদবদলে পাকিস্তান দলে ঢুকল সরফরাজ, মালিক, হায়দার আলী ও ফখর জামানরা।
শুক্রবার কয়েকদিন আগে চূড়ান্ত করা পাকিস্তান দলের ১৫ সদস্যের তিনজনকে পরিবর্তন করে পিসিবি। খুশদিল শাহ, আজম খান এবং মুহাম্মদ হাসনাইনের বদলি হিসেবে দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয় ফখর জামান, হায়দার আলী ও সরফরাজ আহমেদকে। অন্যদিকে পিঠের ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া শোয়েব মাকসুদের বদলি হিসেবে দলে জায়গা করে নেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।
শুরু থেকেই সমালোচনা ছিল পাকিস্তান বিশ্বকাপ স্কোয়াড নিয়ে অবশেষ দলের পরিবর্তন আনে পিসিবি।
পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচক শোয়েবের দলে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তার (শোয়েব মাকসুদের) জায়গায় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর আমরা শোয়েব মালিককে দলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নিশ্চিত যে শোয়েবের অভিজ্ঞতা পুরো দলের জন্য কাজে লাগবে।’
শোয়েব মালিক পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন শুরুর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০০৭ সালের পর ২০০৯ বিশ্বকাপেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন শোয়েব। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০১০ বিশ্বকাপে দলে না থাকলেও পরের সবকটি বিশ্বকাপে ছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবার প্রথমে দলে না থাকলেও বদলি ক্রিকেটার হিসেবে দলে ঢুকলেন ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অন্যতম ধারাবাহিক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
ওমান ও আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপে পাকিস্তান রয়েছে গ্রুপ টুতে। সেখানে ২৪ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাবর আজমরা।
পাকিস্তানের স্কোয়াড: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হাফিজ, হায়দার আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক।
রিজার্ভ খুশদিল শাহ, শাহনেওয়াজ ধানি ও উসমান কাদির।