দক্ষিণ সুরমায় অবৈধ স্থাপনা, কদমতলী পয়েন্ট যেন গ্রাম্য হাট

6

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সড়কের দুই পাশে ও ফুটপাতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। কিন্তু উচ্ছেদের মাত্র কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা।
উচ্ছেদ অভিযানে কদমতলী পয়েন্ট, ওভারব্রীজ, ২৭নং ওয়ার্ডের ফেঞ্চুগঞ্জ রোডে শিববাড়ী পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশের ফুটপাত থেকে প্রায় ১২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এসব জায়গায় আবারও গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাঠ। আর এসব অবৈধ দোকানপাঠ স্থাপনে মদদদাতারা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। প্রতিটি অবৈধ দোকানপাঠ থেকে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০-৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলতে মদদ দিচ্ছে। এমনকি প্রতিদিন এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে ১শ টাকা থেকে দেড়শ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কদমতলী পয়েন্টের ফুটপাত দখল করে বসেছে পান সিগারেট, ফল ও সবজি বিক্রির দোকান। এতে লাভবান হচ্ছে কিছু প্রভাবশালী মহল। পথচারীরা ও যানবাহন চলাচলে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই আছে। এতে করে দূর্ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এদিকে ক্বীনব্রীজের মুখ থেকে বাস টার্মিনাল হয়ে কদমতলী হুমায়ুন রশিদ চত্তর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনার মতো করে ভ্যানগাড়ী রাখা ও টং দোকান গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে পুলিশের নাম করে চাঁদা আদায় করে থাকে কাজল নামের এক ব্যক্তি। প্রতিটি ভ্যানগাড়ী থেকে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়।
কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, কিছু মানুষের ফায়দা হাসিলের জন্য ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও রাস্তাঘাটে ফল ও সবজি ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে বসে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে কিছু স্বার্থন্বেষী মহল উপকৃত হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ তৌফিক বক্স লিপন বলেন, দক্ষিণ সুরমার ২৫, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডে সিটি এলাকায় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ যতগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে, সেগুলো আবারও যারা অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছে তাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে।