ওসমানীনগরে যুবককে অপহরণ করে মারধর-লুট, আটক ৪

3

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের দয়ামীর বাজার থেকে মাছুম আহমদ (২১) নামের এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে একই উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারধর ও লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপহৃত মাছুম আহমদ বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা কোনাউড়া গ্রামের মৃত ইনাই আলীর পুত্র। টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়কে কেন্দ্র করে এঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
মারধরের পর মাছুমকে সেখান থেকে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে বিশ্বনাথে নিয়ে আসার পথিমধ্যে তার (মাছুম) হাক-চিৎকারে থানার সম্মুখে স্থানীয় জনসাধারণ তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে অপহৃত মাছুমসহ তাকে অপহরণকারী ৪ জনকে থানায় নিয়ে যান। ঘটনাস্থল ওসমানীনগর হওয়ায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ তাদেরকে সেখানে (ওসমানীনগর থানায়) প্রেরণ করে। এরপর মাছুম আহমদ আটককৃত ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ওসমানীনগর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১২ (তাং ২২.০৮.২১ইং)।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রামের রশিদ আলীর পুত্র নূর ইসলাম (৫৫), সাহিদ আলীর পুত্র লুৎফুর রহমান (৩৮), বাছন মিয়া (৩৮) ও দক্ষিণ দশপাইকা গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর পুত্র রিপন মিয়া (৩০)। মামলায় আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার এজাহারা বাদী উল্লেখ করেছেন, গত ২১ আগষ্ট বিকেল ৪.১৫ মিনিটের সময় অভিযুক্ত বাছন মিয়া তার ব্যবহৃত মোবাইলে বাদীর মোবাইলে কল দিয়ে টাকা-পয়সা লেনদেনের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর বাজারে আসতে বলে। গ্রেফতারকৃত বাছন বাদীর পূর্ব পরিচিত হওয়া মাছুম দয়ামীর বাজারে আসেন। মাছুম দয়ামীরে যাওয়ার পর বাছন তাকে (মাছুম) জানায় ঘোষগাঁওস্থ তার (বাছন) শ্বশুড় বাড়িতে গিয়ে লেনদেনের কথা বলবে বলে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে পৌঁছামাত্র অভিযুক্তরা চিৎকার দিয়ে চোর চোর বলে মাছুমকে একটি রুমে আটকে রেখে আরো ৩/৪ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বাদীকে মারধর শুরু করে।
এসময় বাদীকে অভিযুক্তরা হুমকি দেয় হাক-চিৎকার করলে প্রাণে মেরে মেলবে বলে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। মারধর করার পর বাদীর পকেটে থাকা প্রায় ৩ হাজার টাকা অভিযুক্ত বাছন নিয়ে যায়। মারধরের কিছু সময় পর অভিযুক্তরা বাদীকে নিয়ে অজ্ঞাতনামা স্থানের উদ্দেশ্যে যাত্র করে।
রাত প্রায় ৮টার দিকে পরিচিত লোকজন ও বিশ্বনাথ থানা দেখতে বাদী হাক-চিৎকার শুরু করেন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সার গতিরোধ করে তাদেরকে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে যান। সেখানে ঘটনার বিবরণ শুনে তাদের সবাইকে ওসমানীনগর থানায় প্রেরণ করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল ওসমানীনগর থানায় হওয়ার কারণে তাদেরকে সেখানে প্রেরণ করা হয়ে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে করেছেন ওসমানীনগর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শ্যামল বণিক।