বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পুরো ঘটনার সঙ্গে জিয়া জড়িত ॥ খুনী মাজেদের জবানবন্দী

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে জবানবন্দী দিয়ে গেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের অন্যতম খুনী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। খুনী মাজেদের জবানবন্দীতে উঠে এসেছে ওই নৃশংস হত্যাকান্ডের নেপথ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জেনারেল জিয়াউর রহমানের ভূমিকা। জিয়াউর রহমান জড়িত থাকার বিষয়ে মাজেদের দেয়া জবানবন্দীটির ভিডিও চিত্র করেছে তদন্তকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে পালিয়ে ছিল ভারতে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভারত থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকর হয় খুনী ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের ফাঁসির দন্ড। ফাঁসিতে ঝোলার আগে বঙ্গবন্ধুর এই খুনী জবানবন্দী দিয়েছে। মাজেদের জবানবন্দীতে উঠে এসেছে ওই নৃশংস হত্যাকা-ের নেপথ্যে ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান।
ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের দেয়া জবানবন্দীর একটি ভিডিওচিত্রে যা ছিল তা সংরক্ষিত রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থায়। খুনী মাজেদ জবানবন্দীতে যা বলেছেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো-
জবানবন্দীতে যা বলেছেন মাজেদ- ‘১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান সাহেব ১০টা ১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে সব ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর জোয়ান এবং অফিসারদের এ্যাডড্রেস করেন। ওখানে উনি (জিয়াউর রহমান) মোটিভেট করেন যে, ‘এখন যে ঘটনা গত রাতে ঘটে গেছে তোমরা সে সমস্ত নিয়ে কোন রকম মাথা ঘামাবে না। তোমরা সব চেইন অব কমান্ড এ ফিরে যাও। সবাই কাজকর্ম করো। এটা জাতির ব্যাপার এটা আমাদের ব্যাপার না।’ এভাবে উনি (জিয়াউর রহমান) মোটিভেটেড লেকচার দিয়েছেন ওখানে ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে। উনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গভবনে খুনীদের সাথে দেখা সাক্ষাত করতেন এবং খুনীরাও ওখান থেকে যোগাযোগ করত ডাইরেক্ট এবং আর্মির চেইন অব কমান্ড বলতে কিছু ছিল না। ওরাই চালাতো প্র্যাকটিক্যালি। ওখান থেকে।
উনার (জিয়াউর রহমান) সাথে মাঝখানে একবার আমি ইন্টারভিউ দিতে যাই, জিয়াউর রহমান সাহেবের সাথে সেনা হেডকোয়ার্টারে। সেখানে উনি, উনাকে (জিয়াউর রহমান) বললাম যে, আমাকে আমার একটা বাহিরের সিভিল সার্ভিসের ব্যাপারে উনাকে (জিয়াউর রহমান) বললাম, একটা সার্ভিসের ব্যাপারে ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম। সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তখন উনার (জিয়াউর রহমান) সাথে যে আলোচনা হয়েছে, তখন দেখা গেছে যে তিনি (জিয়াউর রহমান) প্র্যাকটিক্যালি এই ক্যু’র পক্ষপাতসুলভ কথাবার্তা বলছেন। ওদের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। এটা করেছেন কিন্তু উনার (জিয়াউর রহমান) কথাবার্তার বুঝা যাচ্ছে দেখা গেছে যে উনি (জিয়াউর রহমান) ক্যু’র সমর্থক। ওদের সাথে উনার (জিয়াউর রহমান) সবকিছু যোগাযোগ। পরবর্তীতে যখন বিদেশে যাওয়ার প্রশ্ন আসলো তখন তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গভবনে ডাইরেক্ট কথা বলতে পারি না, দেখেছি ওনার সাথে উনি দেখি মিলিটারি সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্টের সাথে উনারা কথাবার্তা বলছেন। তাতে এই সমস্ত আমরা দূরে থেকে দেখেছি।
পরে (জিয়াউর রহমান) বললো যে এখানে বঙ্গভবনে যে সমস্ত অফিসাররা আছে তারা সবাই বাহিরে বিদেশে যাবে। বিদেশে তাদের উনি কাগজপত্র তৈরি করার জন্য মিলিটারি সেক্রেটারি ছিলেন তখন ব্র্রিগেডিয়ার মাশহুর হক উনাকে নির্দেশ দিছেন আরকি। যেহেতু আমরা বঙ্গভবনে ডিউটিরত ছিলাম, স্কট ডিউটি সেখান থেকে আমাদেরকেও ব্যাঙ্ককে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ব্যাঙ্ককে যাওয়ার পরে সেখান থেকে আমাদেরকে ফেরত পাঠায়নি বরং সেখান থেকে তারা শুনলাম যে তখন তো জিয়াউর রহমান সাহেব পুরা ক্ষমতায়। তিনি (জিয়াউর রহমান) তাদেরকে লিবিয়ায় আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করেছেন। পরে আমরা শুনলাম সেখানে জেলখানাতেও তারা চারজন জাতীয় নেতাকে মেরে গেছে। এই রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ওখানে ঘোষণা করছে, বলছে তার সাথে দুইটা সিপাইও ছিল। সিপাইরা তো ওখানে যাওয়ার কথা নয়। সিপাই তারপরে রিসালদার। তারপরে লিবিয়াতে আমরা গিয়েছি। লিবিয়ায় যাওয়ার পরে বলে যে, ফরেন সার্ভিস হবে সবার। জিয়াউর রহমান ফরেন সার্ভিস দিবেন সবাইকে প্রাইজ হিসেবে এবং একটা করে প্রমোশনও দিয়ে দেবেন। পরে কিছু দিন পরে কয়েক মাস আমার মনে নাই এক্স্যাক্ট ডেট সেই জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রতিনিধি জেনারেল নুরুল ইসলামকে (শিশু) পাঠায়। জেনারেল নুরুল ইসলাম শিশু যায় সেখানে। ওদের সাথে মিটিং করে। কার কার কোথায় ফরেন পোস্টিং হবে সেই চয়েজ নিতেই উনি গেছেন ওখানে। জিয়াউর রহমানের পক্ষ থেকে। জিয়াউর রহমান, উনার ডাইরেক্ট মদদ ছিল ওদের প্রতি। উনি তো ওদেরকে টোটাল পেট্রোনাইজড, একটা করে প্রমোশন জাম্পড এবং একটা করে ফরেন প্রাইজ পোস্টিংগুলি এগুলি তো অফিসারেরা ফরেন সার্ভিসের জন্য কোয়ালিফাইড নয়। এটা তো সত্যি কথা। তো ফরেন সার্ভিসের জন্য এসব অফিসাররা কোয়ালিফাইড নয়, মোস্ট অব দেম শর্ট সার্ভিস কমিশনড অফিসার। অল্প কতদিনের ইভেন তারা গ্র্যাজুয়েটও না। তাদেরকে ফরেন সার্ভিস হিসেবে প্রাইজ পোস্টিং দিচ্ছে। এটাতে বুঝা যাচ্ছে যে উনি (জিয়াউর রহমান) পুরো ঘটনার সাথে একদম সংযুক্ত। আর লেয়ার থেকেই উনার সাথে কথা।
এগুলি উনার (জিয়াউর রহমান) কথার ধরনে বোঝা যায়। তারা (ক্যু অফিসারের পরিবার) বঙ্গভবন থেকেই পাঠিয়ে দিয়েছে তাদের। তাদের জন্য পাসপোর্ট মাইগড পরিবার শুধু? বিয়ে করে নাই তারা চলে গেছে। অন্যান্য মহিলারা তাদের ফিয়ান্সে, গার্লফ্রেন্ড এ ধরনের এগুলি আর কি কথা বলবো, এ ধরনের, ওই বিষয়ে হয়নি। মেজর শাহরিয়ার বিয়েও করে নাই এক ভদ্রলোকের ওয়াইফকে নিয়ে চলে গেছে। সেসব কাগজপত্র পর্যন্ত তাদেরকে বানিয়ে দিয়েছে। আবার ওই যে, আরেকটা মেজর হুদা অবশ্য পরে গেছে তার ওয়াইফ। বিয়ে হয়নি কিছুই হয়নি নারায়ণগঞ্জের এক মেয়ে হুদার ওয়াইফ বনে গেছে। পরে তার ওয়াইফ জয়েন করে। তাকে কাগজ করে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে ওখানে। এ সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেয়ার কারণে বুঝা যাচ্ছে যে এগুলি এখান থেকে হচ্ছে।
উনি (জিয়াউর রহমান) ছাড়া তো আর এগুলি হতে পারে না তখন। উনি (জিয়াউর রহমান) যেহেতু আর্মি চীফ এরা আর্মি অফিসার। বিয়ে ছাড়াও এ সমস্ত মহিলারা একোম্পানি করছে। যাদের ওয়াইফ ছিল, চিলড্রেন ছিল তাদের ব্যাপার ভিন্ন। এরাও একোম্পানি করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি ওনার (জিয়াউর রহমান) ওয়াইফ ক্যান্টনমেন্টে। ’৭১ সালে উনার ওয়াইফ উনি তখন মনে হয় চিটাগাং ছিলেন। উনার (জিয়াউর রহমান) ওয়াইফকে আমার দেখা হয়েছে ১৯৭২ সালে যখন উনি কুমিল্লায়। ওখানে ক্যান্টনমেন্টে ছিল চিটাগাং এর। উনি (জিয়াউর রহমান) তো ’৭২ সালে ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর। ওখানে আমরা দেখেছি। অ্যাজ এ ব্রিগেড কমান্ডার ওয়াইফ হিসেবে যখন রিসিপশন হতো তখন দেখেছি এই স্যার। উনি (খালেদা জিয়া) শুনেছি যে, উনি ’৭১ সালে উনি ইয়েতে ছিলেন। তো এখানে জিয়াউর রহমানের এ সমস্ত বক্তব্যগুলো। আমি উনাকে (জিয়াউর রহমান) দুই/তিনবার দেখেছি। উনার বক্তব্য শুনেছি। অডিটরিয়ামে সামান্য কয়েক মিনিট এর জন্য শুনেছি। আমরা বাইরে দিয়ে দাঁড়ানো ছিলাম। ওখানে উনি (জিয়াউর রহমান) বক্তব্য রাখছেন। অনেক লোক সেখানে। ক্যান্টনমেন্ট অডিটরিয়ামে। জায়গা হয়নি, জায়গা খুব কম ছিল। ওখানে জায়গা ভর্তি। যারা আগে বসে গেছে বসে গেছে। আমরা তো পরে গেছি। ক্যু পার্টি সেখানে ছিল না। উনি (জিয়াউর রহমান) ক্যান্টনমেন্টে যে জোয়ানরা ছিল আর অফিসাররা ছিল তাদেরকে মোটিভেট করার জন্য।
ওই মোটিভেট ছিল, যেটা ঘটনা হওয়ার হয়ে গেছে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। ফারদার কোন কিছু যেন না হয়। না হলে তো তখনই, তখন বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটা সিপাহীও ইয়ে করে নাই। তারাতো জানেও না এসব। তাদের তো কোন অফিসাররা ক্যু’তে ইনভলব ছিল না। তারা ওই বেঙ্গল রেজিমেন্টের রিটায়ার্ড অফিসার কিছু ছিলো। দুইজন-তিনজন। আর বাকিরা ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট, আর্মার্ড কোরের লোক। ওরা ছিল না ক্যু অফিসাররা ছিল না। ওখানে যারা ক্যু’তে ছিল না তারা ছিল। বক্তৃতা দিয়েছেন, মোটিভেট করেছেন। উনার (জিয়াউর রহমান) তো সমর্থন আছে তা না হলে উনি আগ বাড়িয়ে এসব মোটিভেশন করবে কেন উনাদেরকে? উনার (জিয়াউর রহমান) তো সমর্থনই, এ তো পরিষ্কার কথা। এখানে সাবসিকুয়েন্স তার এ্যাকশন ই তো বুঝা যায়। এখানে ওদের প্রতি তো উনার (জিয়াউর রহমান) সমর্থন ওদের প্রতি। রেগুলার ওরা ওরাই ডিক্টেক্ট করত সব কিছু। হুকুম চালাত ওখান থেকে। ওরা যাই চাইত তাই উনি (জিয়াউর রহমান) করে দিত। এ ধরনের অবস্থা ছিল তখন। এতেই তো পুরো ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। একদম পরিষ্কার করে সবগুলি নাম, সব অফিসারের প্রত্যেকটার নাম ঘটনা ইভেন শহীদ খালেদ মোশাররফকে কারা কারা শহীদ করছে উনার (জিয়াউর রহমান) সেটাও আছে।
আমরা শুনেছি যে উনি (শহীদ খালেদ মোশাররফ) বলছেন শুধু যে বঙ্গভবনে বসে এই মেজর এরা বসে থাকবে কেন ওখানে। তারা চলে আসবে। তারা চলে আসুক। ইউনিটে চলে আসবে। তারা কমান্ডে চলে আসবে ফিরে। তার একটা ন্যায্য দাবি। সঠিক দাবি যে চেইন অব কমান্ড। চেইন অব কমান্ড ছাড়া ফোর্স চলে নাকি? যে যে অফিসাররাই করছে আছে, কিন্তু এদের সমর্থন ছিল। এরা এইসব ঘটনার সাথে মূলহোতা। এরা এইসব কিছু করছে। এদের সব কিছু ভিআইপির মতো ট্রিটমেন্ট দিত। তারা বঙ্গভবনে ভিআইপি। উনাদের (ক্যু পার্টির সদস্যদের) ছিল সামনে যে প্রেসিডেন্ট এর ভিআইপিরা যে গেট দিয়ে ঢুকে সামনের গেট, ফ্রন্ট গেট। প্রেসিডেন্ট এর পাশে রুমে স্যুইট মোশতাক সাহেবের যে রুমে থাকতেন সেই পাশে ছিল। আমরা তো কখনও দোতলায় উঠিনি। দোতলায় এখান দিয়ে উঠে ডাইরেক্ট লিফট। লিফটে উপরে যাইতেন এবং এখানেই কথোপকথন হতো আর্মির সাথে এবং জিয়াউর রহমান সাহেবের সাথে।
জিয়াউর রহমান আসলেও এখানে এদের সাথে কথাবার্তা বলতেন। এই বঙ্গভবনে আসলেই উনাদের (জিয়াউর রহমানের সাথে ক্যু পার্টির সদস্যদের) সাথে মিটিং হতো এখানে। ক্যু’র পরে বঙ্গভবনে ওই সামনের ফ্রন্ট গেট দিয়ে উনি এই জিয়াউর রহমান যখন আসতেন আমরাতো পেছন থেকে দেখতাম স্যার সবকিছু এই গাড়ি দিয়ে নামছে উনি উঠে উপরে চলে যেতেন ওই ক্যু নেতাদের ওপরে চেম্বার ছিল রুম ছিল। তারা যে থাকত সেখানে মিটিং করত তাদের সাথে।’
চলতি বছরের ১২ এপ্রিল প্রথম প্রহরে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয় ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আগে দেয়া জবানবন্দীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল খুনী মাজেদ। জাতির পিতার খুনের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি দেয়া জবানবন্দীতে পরিষ্কার করে দিয়েছে খুনী মাজেদ। খুনী মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার আগে যাদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তার মধ্যে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনী সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়।
এখনও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পাঁচ খুনী পালিয়ে আছে। তাদের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোন তথ্য নেই। এছাড়া ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।