দেশেই স্বর্ণ পরিশোধনাগার, স্থাপন ও পরিচালনার পথ খুলছে

5
Illustration Gold Bars and Coins

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ভেতরেই স্বর্ণ পরিশোধনাগার স্থাপন ও পরিচালনার পথ খুলেছে। এ লক্ষ্যে সরকার ‘স্বর্ণ পরিশোধনাগার স্থাপন ও পরিচালনায় অনুসরণীয় পদ্ধতি’ অনুমোদন করেছে, যা ইতোমধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে।
দেশের ভেতরে স্বর্ণ পরিশোধনাগার স্থাপন করতে হলে একই সীমানায় নিজস্ব ২০ বিঘা জমি থাকতে হবে। কোনো ভাড়া, লিজ করা সম্পত্তিতে পরিশোধনাগার স্থাপন করা যাবে না। পরিশোধনাগার ও ওয়ারহাউস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে।
সেই সঙ্গে কোম্পানির নামে অনুমোদিত মূলধন হিসেবে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা থাকতে হবে এবং পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে ১০০ কোটি টাকা। গত ৭ জুলাই প্রকাশিত গেজেটে এমনই শর্ত রাখা হয়েছে।
স্বর্ণ পরিশোধনাগার স্থাপনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠন করা বাছাই কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে দুই মাসের মধ্যে সুপারিশ করবে। তার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেবে। লাইসেন্স পাওয়ার দুই বছরের মধ্যে পরিশোধনাগার স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে।
বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) ও সদস্য সচিব হবেন উপ-সচিব (রফতানি-১)। সদস্য হিসেবে থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (রফতানি-১)।
তার সঙ্গে সদস্য হিসেবে থাকবেন- রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, আরজেএসসি, সিসিআইঅ্যান্ডই, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এবং পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিনিধি। এছাড়া বাছাই কমিটিতে প্রয়োজনে সরকারি দফতর থেকে সদস্য কো-অপ্ট করা যাবে।
স্বর্ণ পরিশোধনাগার স্থাপনে প্রাথমিক অনুমতি পাওয়ার পর পরিশোধনাগার কর্তৃক গ্রহণ করা কাজের ওপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে হবে। বছর শেষে তা কারিগরি কমিটি যাচাই করবে।
রফতানি বাজারে প্রবেশের জন্য শুল্ক বন্ড সুবিধা প্রদান, ব্যয়বহুল ও আর্থিক ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বিবেচনায় উৎপাদন শুরু হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কর সুবিধা এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি ও পরিশোধনাগারে ব্যবহৃত ব্যবহারযোগ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা দেবে সরকার। এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যক্রম গ্রহণ করবে।