যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর উত্তোলন শুরু হওয়ার সংবাদে শ্রমিকদের মাঝে আনন্দের জোয়ার

23
যাদুকাটায় বালু ও পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানের পর নির্ধারিত এলাকায় লাল নিশান টাঙ্গিয়ে দেন স্থানীয় প্রশাসন।

বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর মহালে বালু পাথর উত্তোলন কাজ শুরু হবে এমন সংবাদে যাদুকাটা নদীর আশপাশ এলাকার শ্রমিকদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। শনিবার দুপুরে এ লক্ষ্যে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর, সুনামগঞ্জ প্রশাসক কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এসএম রেজাউল করিম, তাহিরপুর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বাবুল চন্দ্র দাস, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশীলদার, রাজর্ষি রায়, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সার্ভেয়ার শাহীন আলম, লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম, ডিহিবিটি তহশীলের সহকারী তহশীলদার রুহুল আমিন, তাহিরপুর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, যাদুকাটা নদীতে ভারত সীমান্তের ৪শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরজমিন গিয়ে লাল নিশান টানিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, ইজারাদার ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে দখল নামা সমজিয়ে দেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি ও যাদুকাটা নদী বালু পাথর মহালের ইজারাদার সেলিম আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, যাদুকাটা নদীর ইজারাদার আলহাজ¦ আজাদ হোসেন, উত্তর বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, লাউড় বালু পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাহিদ, বিশ^ম্ভরপুর বালু পাথর সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছাত্তার প্রমুখ।
বক্তারা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার দেশীয় পদ্ধতিতে নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলন করবেন। নদী তীর কেটে বালু পাথর উত্তোলন করা যাবে না। নদীর তীর কেটে বালু পাথর উত্তোলন করলে প্রশাসন আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিবেন। কাজেই আপনারা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বালু পাথর উত্তোলনের কাজ করবে।