সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ শাহী ঈদগাহে প্রবাসী পরিবারকে বাসা থেকে উচ্ছেদে মামলা-হামলার অভিযোগ

12
নগরীর শাহী ঈদগাহ’র বাসিন্দা জ্যোৎস্না আক্তারের উদ্যোগে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ফাহিমা আক্তার।

স্টাফ রিপোর্টার :
২০১৭ সালে নগরীর শাহী ঈদগাহে ৪ শতক জমি কিনেছিলেন। নিয়ম মেনে জমির কাগজপত্র ও দখল বুঝে পেয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই বাসা থেকে উচ্ছেদ করতে মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাসী হামলাসহ নানা অপকর্ম শুরু করেন বাসাটির আগের মালিক। এমনই অভিযোগ করেছেন শাহী ঈদগাহ ধানসিঁড়ি এলাকার ৪৩/এ, -এর স্থায়ী বাসিন্দা সৌদী প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী জ্যোৎস্না আক্তার। শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ও আমার স্বামী ২০১৭ সালে শাহী ঈদগাহের বাসিন্দা সাহারা আহমদের কাছ থেকে সাফকবালা দলিল মূলে ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে ৪ শতক ভূমি ক্রয় করি। তখনই সাহারা আহমদ এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিয়ানের উপস্থিতিতেই আমাদেরকে দখল বুঝিয়ে দেন। এরপর থেকেই আমরা এ বাসায় বসবাস করছি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে হোল্ডিং, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সবকিছুই বর্তমানে আমাদের নামেই রয়েছে। এরপর আমার স্বামী সৌদি আরব চলে যান এবং এখনো তিনি প্রবাসে রয়েছেন। আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে দেখাশোনা করেন আমার বড় ভাই গুলজার হোসেন ও আমার প্রতিবন্ধী বোন ফাহিমা আক্তার।
তিনি বলেন, আমার স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পরপরই একটি মহল আমাদের বাসা জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু এরপরও সেবুল মিয়া ও তারেক আহমদ বাসার বিক্রেতা সাহারা আহমদকে দিয়ে আমার ভাই গুলজার আহমদ ওরফে গুলজার হোসেন, স্বামী নাজিম উদ্দিন ও আমার বিরুদ্ধে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতারনা ও দলিল জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা করায়। ওই মামলার বাদী সাহারার মামলা মিথ্যা বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাহারা আহমদের স্বামী-ছেলে ও তাদের ভাড়াটিয়া ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট আমাদের উপর সশস্ত্র হামলা করে আমাকে ও আমার স্বজনদের গুরুতর আহত করে। আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই। এ ঘটনায় আমার ভাই গুলজার হোসেন বাদী হয়ে সাহারা, সাহারার ছেলে তারেক, তানভীর, মেয়ে তারিন ও শাহারার পক্ষে ভাড়াটে একাধিক মামলার আসামী পূর্ব চৌকিদেখীর সেবুলকে এজাহারভুক্ত করে একটি মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। তারেক আহমদ মিরাবাজারের ডাকাতি মামলায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
তিনি বলেন, কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় সাহারা, সাহারার ছেলে তারেক ও তার ভাড়াটিয়া সেবুল বাহিনী আমাদেরকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে হামলা-মামলা অব্যাহত রেখেছে।