হেফাজতের শতাধিক কোটি টাকার অবৈধ অর্থ সম্পদের সন্ধান ॥ তদন্তের আওতায় ২৪ প্রতিষ্ঠান ও ৩০ নেতা

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হেফাজতে ইসলামের ৫৪ নেতা ও প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সম্পদের পরিমাণ শতাধিক কোটি টাকা-এমন তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সম্পদের অভিযোগে যে তদন্ত করা হচ্ছে তাদের মধ্যে আছে ২৪ প্রতিষ্ঠান ও ৩০ হেফাজতে ইসলাম নেতা। এসব নেতা ও প্রতিষ্ঠানের নামে অর্জিত অর্থের প্রয়োজনীয় কর না দেয়াসহ আইনগত বৈধতা না থাকায় কালো টাকা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে শতাধিক কোটি টাকার। হেফাজত নেতাদের লেনদেনের হিসাবসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে সব তফসিলি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। হেফাজত নেতা ও প্রতিষ্ঠানের অর্জিত অর্থের সন্ধান করছে অন্তত ৪টি তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান। তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান চারটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- সম্পাদক মামুনুল হকের কেবলমাত্র দুই ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে সেই পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লেনদেন। এরমধ্যে ৪৭ লাখ টাকা জমা আছে ব্যাংক এ্যাকাউন্টেসে। মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লেনদেন, মানিলন্ডারিং ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন ও লাগামহীন অর্থ খরচের খবরও দুদকের নজরে এসেছে। সংস্থাটি তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে তথ্যানুসন্ধান শুরু করেছে। এছাড়াও হেফাজতে ইসলামের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে ৩১৩ জনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি)।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হেফাজত নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, নূর হুসাইন কাসেমী, মামুনুল হকসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের হিসাব কষছে বিএফআইইউ। তাদের ব্যাংক হিসাবের দিকেও দুদকের নজর রয়েছে। দেশে-বিদেশে অর্থের জোগানদাতাদেরও চিহ্নিত করা হবে। এরইমধ্যে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অর্থ-সম্পদ, অর্থের উৎস, মানিলন্ডারিং ও অন্যান্য আর্থিক অপরাধ খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে তাদের বিত্ত-বৈভবের নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। ওইসব তথ্য যাচাই করা হবে। হেফাজতের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৫৪ নেতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংস্থটি ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শুরু করেছে দুদুক সহ অন্যান্য তদন্তকারী আইন শৃংখলা বাহিনীর সংস্থাও।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে থাকা হেফাজত নেতা মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদে নানা অপরাধের তথ্য পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুলের কাছ থেকে জানা গেছে, দেশে আধিপত্য বিস্তারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বেআইনীভাবে তিনি অর্থ সংগ্রহ করেছেন। সে অর্থ খরচ করে সন্ত্রাসী তৎপরতা পরিচালনা করা হয়েছে। ওইসব অর্থ নিজেদের ভোগ-বিলাসেও ব্যয় করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া হেফাজত নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ও নানাভাবে অনুসন্ধানে তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ২৪ হেফাজত নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, সাবেক মহাসচিব প্রয়াত নূর হুসাইন কাসেমী এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ ২৪ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে দেশের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা টাকা, লেনদেনের হিসাবসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে সব তফসিলি ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। ব্যাংক হিসাব তলব করা নেতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন হেফাজতের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, মহাসচিব সৈয়দ ফয়জুল করীম, আল-হাইয়্যাতুল উলয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ ইমাম ও মুসল্লি ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব (ডেমরা) মাওলানা মাহমুদুল হাসান সিরাজী ও মাওলানা আব্দুল আলিম সাইফি (কদমতলী), মাওলানা আব্দুল হক (শ্যামপুর), হেফাজতে ইসলামের অর্থ সম্পাদক মুফতি মুরি হোসাইন কাসেমী, দারুল আরকাম মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক আল্লামা সাজিদুর রহমান, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক আল্লামা মুফতি মোবারক উল্লাহ, ইসলামপুুর মাদ্রাসার পরিচালক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) মাওলানা মোঃ বোরহান উদ্দিন কাশেমী, জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিক্ষাসচিব আল্লামা আশেক এলাহী, সৈয়দুন্নেছা মাদ্রাসার (কাজিপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইদ্রিস, অষ্টগ্রাম বাজার মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, বেড়তলা মাদ্রাসার (আশুগঞ্জ) পরিচালক হাফেজ জোবায়ের আহাম্মদ আনসারী, সরাইল উচালিয়া মাদ্রাসার (সরাইল) পরিচালক মাওলানা মোঃ জহিরুল ইসলাম, দারমা মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক মাওলানা মেরাজুল হক কাশেমী, নাটাই দক্ষিণ বিরাসার মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পরিচালক মাওলানা মোঃ আবু তাহের এবং জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ছাত্র/সভাপতি মাওলানা মোঃ জিয়া উদ্দিন জিয়া।
হেফাজত নেতাদের পরিচালনাধীন ৩০টি মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। যেসব মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে সেগুলো হলো সানারপাড়ের নিমাই কাশারীর জামিয়াতুল আবরার হাফিজিয়া মাদ্রাসা, সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগরের মা. হাদুশ শাইখ ইদরীম আর ইসলামী ও আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা, সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের আশরাফিয়া মহিলা মাদ্রাসা, আব্দুল আলী দারুস সালাম হিফজুল কোরান মাদ্রাসা ও ইফয়জুল উলুম মুহডিচ্ছুন্নাহ আরাবিয়্যাহ মাদ্রাসা, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া নুরুল কোরান মাদ্রাসা, ভূইয়াপাড়া জামিয়া মুহাম্মদীয়া মাদ্রাসা, মারকাজুল তাহরিকে খতমি নবুওয়াত কারামাতিয়া মাতালাউল উলুম মাদ্রাসা, নূরে মদিনা দাখিল মাদ্রাসা ও জামিয়াতুল ইব্রাহীম মাদ্রাসা, হাটহাজারীর জামিয়া আহদিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা, মেখল হাটহাজারীর জামিয়া ইসলামিয়া হামিউস সুন্নাহ মাদ্রাসা, চারিয়া হাটহাজারীর জামিয়া ইসলামিয়া ক্বাসেমুল উলুম মাদ্রাসা, ফতেহপুর হাটহাজারীর জামিয়া হামিদিয়া নাছেরুল ইসলাম মাদ্রাসা ও মাহমুদিয়া মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসা, ফটিকছড়ির বাবুনগর আজিজুল উলুম মাদ্রাসা, আল-জামিয়াতুল কোরআনিয়া তালিমুদ্দিন হেফজখানা ও এতিমখানা, নাজিরহাট আল জামেয়াতুল আরাবিয়া নাসিরুল ইসলাম মাদ্রাসা এবং জাফতনগর হাফেজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা, উত্তর নিশ্চিন্তপুরের তালীমুল কোরান বালক-বালিকা মাদ্রাসা ও এতিমখানা, চট্টগ্রামের পটিয়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা, হাফেজিয়া তালীমুল কোরান মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং আশিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা হেফজখানা ও এতিমখানা; চট্টগ্রামের ভুজপুরের উত্তর বারমাসিয়া হাফেজুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা, দাঁতমারা তালিমুল কোরান ইসলামিয়া মাদ্রাসা, আল জামিয়া ইসলামিয়া এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসা, আল মাহমুদ ইসলামিয়া বালক-বালিকা মাদ্রাসা, আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া আল আরাবিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা বালক-বালিকা মাদ্রাসা এবং চট্টগ্রামের বেতুয়ার সিরাজুল উলুম মাদ্রাসা।
হেফাজতে ইসলামের যেসব কেন্দ্রীয় নেতা বা ব্যাপক পরিচিতি থাকা নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, মহাসচিব সৈয়দ ফয়জুল করীম, আল-হাইআতুল উলয়াও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ প্রমুখ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে দেশের বিভিন্নস্থানে সন্ত্রাসের সহিংস তা-বের ঘটনার পর হেফাজত নেতাদের ব্যাংক হিসাবে জমা টাকাসহ লেনদেন ও সম্পদের হিসাবের যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদাধীন মামুনুল হক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিবের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক। মামুনুল হক ঢাকায় হেফাজতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অন্যতম। রাজধানীতে হেফাজতের কর্মসূচীতে তিনি দ্রুত জমায়েত করাতে পারেন। উত্তেজক বক্তৃতার জন্য পরিচিত মামুনুল হক সম্প্রতি হেফাজতের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ ঘেরাও হওয়ার পর মামুনুল হকের একাধিক বিয়ের খবর বের হয়। মামুনুল হকের একের পর এক অডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে। শুক্রবার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণ, প্রলোভন, প্রতারণার অভিযোগে সোনারগাঁও থানায় মামলা করেছেন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ব্যাংক লেনদেন পাওয়ার পর এটারও তদন্ত করা হচ্ছে।
তদন্ত সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেছেন, মামুনুল হক তো ধরাই খেয়েছেনই, অন্য হেফাজত নেতাদের মধ্যে যাদের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবে লেনদেন রয়েছে তারাও ধরা খাবেন। হেফাজতে ইসলামের নেতাদের অভিযোগ বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করা হচ্ছে। অভিযোগ ব্যাপক ও বিস্তৃত আকারে হলেও এর সঙ্গে আরও নাম যুক্ত হলে একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধান করা হবে। অনুসন্ধানের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। অভিযুক্তের মামলা তদন্তপূর্বক করে আদালতে চার্জশীট দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বলেছেন, হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতার অভিযান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ, অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। যেসব হেফাজত নেতা এখনও গ্রেফতার হননি তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘ওয়াচ লিস্ট’ এ রাখা হয়েছে।