বিশ্বনাথে গরু চোর ধরতে গিয়ে পুলিশ আহত, গ্রেফতার ২

47

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে গরু চুরির সন্দেহভাজন আসামি ধরতে গিয়ে রিপন আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে রিপন আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে থানায় ফিরেছেন। এ সময় উপজেলার পালেরচক গ্রামের মৃত ইছবর আলীর ছেলে নূর আলম (৩৫) ও তার ছোটভাই লুৎফুর রহমানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পালেরচক গ্রামের নিজ বসতবাড়িতে তাদের গ্রেফতার করতে যায় থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নূর আলম পুলিশের উপর আচমকা ধাক্কা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আটকাতে চাইলে পুলিশ ও আসামিদের মধ্যে দস্তাদস্তি হলে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। একই গ্রামের শামিম মিয়ার দায়ের করা গরু চুরির মামলায় তাদেরকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে, (মামলা নং-০৬) তারিখ ০৬/০৯/১৮ইং। তবে, থানা হাজতে বন্দী থেকেও গ্রেফতরাকৃত দুইভাই বাদী পক্ষের ৩/৪জনকে হুমকি দিয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ আগস্ট দিবাগত ভোররাতে প্রায় ৩লাখ টাকার ৪টি গরু চুরি হয় শামিম মিয়ার। ওইদিন সকাল ৮টারদিকে শামিম মিয়ার বাড়িতে গিয়ে টাকা দিলে নূর আলম চোরাইকৃত গরু উদ্ধার করে দিতে পারবে বলে তাকে (শামিম) জানায়। এনিয়ে একাদিক বৈঠকও হয়। সর্বশেষ পঞ্চায়েতগণ গত ২৪ আগষ্ট বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গ্রেফতারকৃতদের পক্ষ নিয়ে গ্রামের বাদশা মিয়া বৈঠকে উপস্থিত হননি। ফলে গ্রাম্য সালীশে বিচার না পেয়ে অবশেষে আইনের আশ্রয় নেন শামিম। এছাড়া গ্রেফতারকৃত লুৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মামলা নং বিশ্বনাথ জিআর ৬৫/১৭ইং।
শামিম মিয়ার দাবি, নূর আলম ও তার ভাই লুৎফুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আন্ত:জেলা চোর ও ডাকাত দলের সদস্য। তারা চুরি-ছিনতাইয়ের পাশাপাশি নিজস্ব সিএনজি দিয়ে মদ-গাঁজা পাচার করে থাকে। এমনকি রামপাশা এলাকায় যে কারো গরু চুরি হওয়ার পর টাকার বিনিময়ে তারা ফিরিয়ে দেয়।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবী হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে দস্তাদস্তিতে থানার হওয়া আসামিদের দস্তাদস্তিতে রিপন আহমদ নামের এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেফতারের পর বিকেলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।