বিজয়ের মাস শুরু

30

6_110024কাজিরবাজার ডেস্ক :
শুরু হলো বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এসেছে এই মাস। এরই মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কাজ শেষ হয়েছে। কার্যকর হয়েছে এক যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদন্ডাদেশ। বহু কাক্সিক্ষত এই বিচার শেষ করার মাধ্যমে ৪৩ বছরের লজ্জা ঘোচানোর সম্ভাবনায় সারা জাতি এখন উদ্বেলিত। ডিসেম্বর রাষ্ট্র পাওয়ার মাস, কষ্ট পাওয়ার মাস। বাঙালি জাতির একটি নিজস্ব রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপরিচয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মাস। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তার এদেশীয় দোসরদের পরাস্ত করার মাস। মুক্তিযুদ্ধের অগ্নিঝরা সেসব দিনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র জুগিয়েছিল মুক্তির লড়াইয়ের অনিঃশেষ প্রেরণা। সে সময়ের গানে গানে বিধৃত আছে লাঞ্ছিত-নিপীড়িত, মুক্তিপাগল সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির প্রাণের উচ্ছ্বাস, ত্যাগ, লড়াই ও মুক্তির মন্ত্র। ১৯৭১ সালের দীর্ঘ ৯টি মাস পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির মৃত্যুপণ জনযুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল প্রত্যাশিত বিজয়। লাখো শহীদের আত্মদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী অবদান, ত্যাগ এবং অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ নিজের স্থায়ী আসন অর্জন করে নেয় বিশ্ব মানচিত্রে। তাই কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি এই ডিসেম্বর মাসজুড়ে স্মরণ করবে লাখো শহীদকে। তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা বাস্তবায়নের শপথে নতুন করে হবে উজ্জীবিত। জীবনের গভীরতম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে ৪৩ বছর পার করা এ দেশের মানুষের কাছে এবারের ডিসেম্বর শুধু বছর পরিক্রমায় আরও একটি মাস নয়; এবারের ডিসেম্বর নতুন ভাবনা ও চেতনা নিয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। যে দলটির নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এখন উপর্যুপরি দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। সর্বত্রই এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে দীপ্ত পথচলা। তাই এবার নতুন ভাবনা, স্বপ্ন আর বাস্তবতাকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার শপথ নিয়েই বাঙালি জাতি মাসব্যাপী উদযাপন করবে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিয়েছে মাসব্যাপী কর্মসূচি। রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য এবং আলোর মিছিলের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু করেছে দলটি। বিজয়ের মাস উপলক্ষে এবং যুদ্ধাপরাধীদের দন্ড কার্যকর করার দাবিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।