পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা ॥ ২ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলার শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে না

8
কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ ও দশ টাকা কেজি দরের ভিজিএফের চাল শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যৌথভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সিলেটের সর্বস্তরের পরিবহন নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকরা।

সিলেটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ ও দশ টাকা কেজি দরে ভিজিএফের চাল শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ এবং অন্যান্য সহযোগিতার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যৌথভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে সিলেটের সর্বস্তরের পরিবহন নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে কদমতলীস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি হুমায়ূন রশিদ চত্বর ও কীনব্রিজ এলাকা ঘুরে ফের টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়। পরে টার্মিনালে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। পরে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে সিলেটের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, লকডাউনের নামে গণপরিবহন বন্ধ রেখে শ্রমিকদের উপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অচিরেই সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের ১০টাকা কেজি দরে চাল প্রদান ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণপরিবহন চালু করতে হবে। বক্তারা বলেন, আজকে শিল্পকারখানা খোলা, শিল্পপতিদের বড় বড় গাড়ি রাস্তায় ধাবিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ খেটে খাওয়া মানুষ গাড়ি নিয়ে বেরুলেই বিভিন্ন মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করা হচ্ছে। এতে দেশের লাখ লাখ শ্রমিক পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে আছে। এই অমানবিক অবস্থা থেকে শ্রমিকদের মুক্তি দিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর নির্দেশ দিতে হবে। তাদের পেটে ভাত নেই অথচ হাজার হাজার টাকা মামলা দিচ্ছে পুলিশ, যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বক্তারা আরো বলেন, আজকে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সমাগম ও যানজট লেগেই আছে, প্রাইভেট কার ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে অথচ গণপরিবহন বন্ধ রেখে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। লকডাউনের শুরু থেকে আমাদের সাথে এই বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ শ্রমিকদের ডাটা নিয়ে সাহায্যের নামে আজকের একটি টাকাও শ্রমিকদেরকে দেওয়া হয়নি। বক্তারা বলেন, বিমান চলছে, রেল চলছে অথচ গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের নায্য দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলার শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে না। বক্তারা বলেন, এখন পবিত্র রমজান মাস, সামনে ঈদ। তাই শ্রমিকদের জীবিকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চালুর দাবি জানান।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রেবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং বি-১৪১৮) এর সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুশ শহীদ, সিলেট জেলা ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ২১৫৯ এর সভাপতি শ্রী আবু সরকার, সাধারণ সম্পাদক আমির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, কোষাধ্যক্ষ রাজু আহমদ তুরু, সদস্য শরীফ আহমদ, আলী আহমদ আলী, আব্দুল মতিন ভিআইপি, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং ৭০৭ এর সভাপতি জাকারিয়া আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান, সদস্য রাজা আহমদ রাজা, সুজন মিয়া, লিটন মিয়া, বরকত আলী, সিলেট জেলা সিএনজি চালিত শ্রমিক ইউনিয়ন ২০৯৭ এর কার্যকরি সভাপতি মতছির আলী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি