কমলগঞ্জে সিএনজি-অটোয় গ্যাস ভর্তি করতে পুলিশী টোকেন নিয়ে ফিলিং স্টেশনে দীর্ঘ লাইন

6
কমলগঞ্জে লকডাউন চলাকালে শমসেরনগর বড়চেগ সিটি ওভারসিজ ফিলিং স্টেশনে পুলিশী টোকেনে গ্যাস ভর্তি করা হচ্ছে।

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
করোনা মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের লকডাউন চলাকালে পুলিশী টোকেন নিয়ে সিএনজি-অটোর চালকরা ফিলিং স্টেশনে ভিড় করছেন। কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বড়চেগ এলাকায় অবস্থিত সিটি ওভারসিজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অটোচালকরা গ্যাস ভর্তি করতে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। সিএনজি অটো চালক ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ সদস্য জানান, বিভিন্ন অজুহাতে সিএনজি অটোচালকরা শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ম্যানেজ করে টোকেন নিয়ে বড়চেগ সিটি ওভারসিজ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভর্তি করছেন। লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে চালক ও যাত্রীরা ঘর থেকে বের হয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে টোকেন নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যেতে দেখা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সিএনজি চালকরা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গ্যাস ভর্তি করার পাস নিতে ভিড় করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, জরুরী চিকিৎসাজনিত কারণে গ্যাস ভর্তি করার জন্য কয়েকটি সিএনজি অটো চালককে পাস দেওয়া হয়। তবে কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, গ্যাস ভর্তি করার জন্য পুলিশ লিখিত কোন পাস দিতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ প্রয়োজনে মৌখিক অনুরোধ করা যেতে পারে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, শুক্রবার রাতে বিভিন্ন অজুহাতে সিএনজি-অটোচালকরা ফিলিং স্টেশনে গ্যাস ভর্তি করতে কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করার খবর পাওয়া গেছে। তিনি সরকারঘোষিত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সিএনজি চালকসহ সকলকে অনুরোধ জানান।