গুচ্ছ ভর্তিতে পাঁচ ঘণ্টায় ৫০ হাজারের বেশি আবেদন !

14

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক শ্রেণিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন শুরুর পর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টায় ৫০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে অনলাইনে www.gstadmission.ac.bd  এ অবেদন শুরু হয়। আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টেকনিক্যাল সাব-কমিটির পঞ্চম সভায় ওয়েবসাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
আবেদনের যোগ্যতা
২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম-৮.০০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.৫০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.০০ থাকতে হবে। প্রত্যেক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০ থাকতে হবে।
প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের ফলাফল এবং চূড়ান্ত আবেদনের বিষয়ে পরবর্তীতে ভর্তির ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে।
আবেদনের লিংক
যারা গুচ্ছ পদ্ধতির আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে আগ্রহী তাদেরকে এই লিংকে গিয়ে প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী ১৯ জুন এ ইউনিটের (বিজ্ঞান), ২৬ জুন বি ইউনিটের (মানবিক) ও ৩ জুলাই সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে ১টা পর্যন্ত।
এদিকে, আবেদন উদ্বোধনের সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ ওয়াজিদ প্রমুখ।
এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসান-উল-আম্বিয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মেরাজ আলী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. সাফিউজ্জামান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রোগ্রামার মো. মানিক আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামার মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।