ধর্মীয় শিক্ষা থেকে ভবিষ্যৎ বংশধর গড়ে উঠবে – মন্ত্রী শাহাবুদ্দীন

5

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেন, সরকার ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং পাশাপাশি গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে। যে কারণে দেশের শিক্ষার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই কার্যক্রমের ফলে শিক্ষার হার শতভাগে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমাদের নৈতিক শিক্ষা চরিত্র গঠন এবং মূল্যবোধ এগুলো ধর্মীয় শিক্ষা থেকে ভবিষ্যৎ বংশধরকে গড়ে তুলতে পারবে, অন্যকোন শিক্ষার মাধ্যমে পারবে না। কাজেই সরকার এ পদ্ধতির মাধ্যমে জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, তার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কারণ একমাত্র ধর্মই তার নৈতিক চরিত্র এবং তাকে সঠিক মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারবে। সমাজে অনৈতিক কার্যকলাপ চালু আছে এগুলোকে বন্ধ করার জন্য ধর্মীয় শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিক্ষা চালু করেছেন। সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য চালু করা হয়েছে। এ শিক্ষার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য দেশকে উন্নত দেশ ও উন্নত জাতি হিসাবে গঠন করা। সবকিছুু মূল্যে শিক্ষা, শিক্ষা ছাড়া জাতিকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। সে শিক্ষা সুশিক্ষা হওয়া দরকার। এজন্য ধর্মীয় শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাহলেই মানুষের নৈতিক শিক্ষা, চারিত্রিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধ গঠন করা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ভূমিকা শীর্ষক জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
রবিবার ও সোমবার ২দিন ব্যাপি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের যৌথ আয়োজনে জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়ালের মাধ্যমে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রনজিৎ কুমার দাস, প্রকল্প পরিচালক ও উপসচিব সৌরেন্দ্র কুমার সাহা, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের সহকারী প্রকল্প পরিচালক সুভাষ সরকার এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পংকজ রায় মুন্না, প্রেসক্লাব মৌলভীবাজারের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, রাজনগর পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অসিত দেবসহ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।