চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা

17

দেশে চিকিৎসার নামে যে অপচিকিৎসা শুরু হয়েছে তা সামাল দিতে না পারলে চিকিৎসার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা উটে যাবে। বর্তমানে যে অবস্থায় স্বাস্থ্য খাতে অপচিকিৎসা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সরকারকে শক্তহাতে দমন করতে হবে। সময় গড়িয়ে গেলে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
দেশে বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের যে-দুর্গতি তা বাস্তবতার সাথে কোনো মিল নেই বলে চলে। এক রোগী রোগ নিবারণের জন্য চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্ত হলে প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে গিয়ে তার সঞ্চিত অর্থ শেষ হয়ে যায়। এমন সব চিকিৎসকের ভিজিট প্রদান সহ রোগের ঔষধ পত্রের খরচ যোগাতে গিয়ে শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করতে হয়, কিন্তু রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। অনেক রোগী রোগ থেকে রেহাই পেতে তার সহায়- সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হয়।
বর্তমানে সবচেয়ে বড় দুঃখ জনক বিষয় হলো একজন চিকিৎসকের নিকট যে কোনো ধরনের রোগ নিবারণের জন্য এসে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা যায়, তাহলে এ চিকিৎসকের কি দন্ড হওয়ার কথা। যা আমাদের শহর-শহরতলিসহ গ্রামাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়াও ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোর চিকিৎসকের হাতে ভুল চিকিৎসার খেসারত দিতে হচ্ছে। এসব ভুল চিকিৎসার জন্য দায়ী কে ?
দেশে সবচেয়ে বেশী অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। তবে কোনো নারী প্রেগনেট অবস্থায় চিকিৎসকের দ্বারপ্রান্তে গেলেই কত ফরমায়েশ, শেষমেশ অপারেশন (সিজার) করতে প্রয়োজন হলে ভুয়া চিকিৎসক নবজাতকের মাথা কেটে আনার ঘটনা কম ঘটেনি। এছাড়াও ভুল চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত মারা যাওয়ার ঘটনা কম ঘটেনি।
দেশে ডিগ্রী ধারী চিকিৎসকের অভাব নেই, চিকিৎসকের নামের পিছনে ডিগ্রীর ফিরিস্তি দেখলে মনে হয় ভাল একজন চিকিৎসক হয়ত রোগীর রোগ সারানো যাবে, কিন্তু এসব নামী-দামি চিকিৎসকের চিকিৎসা দেখলে মনে হবে, তার চিকিৎসা সেবার মান হচ্ছে-টাকার খেলা।
সম্প্রতি দেশে অসংখ্যক ভুয়া ডিগ্রী ধারী চিকিৎসক ধরা পড়লেও তাদের কি দন্ড হয়েছে, তা কেহ জানে না। ভোক্তভোগিদের মতে এসব ভুয়া ডিগ্রীধারি টকবাজ প্রতারক চিকিৎসকদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করার বিকল্প নেই।