শৈত্যপ্রবাহের আশংকা

12

চলতি মাসে দেশে শৈত্য প্রবাহ হওয়ার আশংকা রয়েছে, ফলে আগে-ভাগেই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তবে চলতি মাসে মৃদু শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনি জানুয়ারি মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে।
আমাদের বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী শীত ঋতু আসতে বেশ সময় থাকলে এ মুহূর্তে শীত ঋতুর আগমনী বার্তা শুরু হয়েছে। চলতি সময়ে শীতের বার্তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান। বিশেষ করে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ছোট-বড় পাহাড় পর্ব্বত ছাড়াও হিমালয়ের পাদদেশের কাছে অবস্থান করায় উত্তরবঙ্গ সহ সিলেট অঞ্চলের সীমান্তিক এলাকায় প্রায় স্থান সমূহে শীতের প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। সিলেটের সীমান্তিক কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, কুলাউড়াসহ সীমান্তিক এলাকায় প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে; প্রতিদিন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার ধারাবাহিকতায় এমাসের শেষের দিকে উত্তরাঞ্চলসহ সীমান্তিক এলাকায় ১/২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছাড়াও জানুয়ারী মাসে দু’থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি এমনকি বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাদের মতে; জানুয়ারী মাসে তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
এ দীর্ঘ মেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাতে আবহাওয়া অধিদফতরের এক সভা শেষে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ তথ্য মতে; এ মাসের গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে, এমাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু (আট থেকে দশ ডিগ্রী সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া সূত্রমতে; জানুয়ারী মাসে দু’থেকে তিনটি মৃদু (৮ থেকে১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদীর অববাহিকায় মাঝারি ঘন কুয়াসা এবং অন্যত্র হালকা-মাঝারি কুয়াশা বয়ে যেতে পারে।
এসব শৈত্যপ্রবাহের সময়ে সকলকে সচেষ্ট থাকা খুবই প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করছেন।