ধূলা বালিতে বায়ু দূষণ

18

নগরবাসি বায়ু দূষণের কারণে আবাসিক এলাকাসহ শহরের সর্বস্তরের নাগরিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন । সংস্কারের নামে নগরীর প্রত্যেকটি সড়কে চলছে মেরামতের কাজ। কোনো কোনো সড়কে স্তুপাকৃত বালু-পাথর, গ্যাস, পানির লাইনের কাজ করতে গিয়ে কাজের লোকজন মাটি কেটে গর্ত করে যেমন-তেমন ভাবে ফেলে দিয়ে চলে যায়, এ গুলো নগরবাসির জন্য মরণ ফাঁদে রূপ নিয়েছে। এ গর্ত গুলো দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব গর্ত গুলোর মাটি শুকিয়ে ধূলা-বালিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। এমনিতে এ করোনা মহামারির সময়ে সাধারণ মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, অপর দিকে শহরে প্রচন্ড ভাবে ধূলা-বালির ছড়াছড়িতে বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
সম্প্রতি নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ধূলা-বালির পরিমাণ বেড়েছে, সাধারণ যাত্রীবাহী যানবাহন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, অফিস সমূহের গাড়ী ছাড়াও ছোট-বড় ট্রাকের সাথে নগর বাসের দ্রুতগতিতে চলাচল করতে গিয়ে ধূলা-বালির ছড়াছড়িতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বিভিন্ন বাসা-বাড়ী নির্মাণের কংক্রিট, বালু-পাথর রাখা এবং সড়ক সংস্কারে বালু-পাথর, পানি, গ্যাসের সংযোগ বিদ্যুতের কাজের মালামাল রেখে নাগরিকদের চলাচলে ব্যাহত করা হচ্ছে। উন্নয়নের বিশেষ কোন উন্নতির বদলে বরং ধূলাবালির কারণে নগরবাসির মধ্যে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেমন ভাবে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে উন্নয়ন কাজের যাত্রা শুরু হয়, সে রূপভাবে উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ফলে নগরী ধূলা-বালির শহরে রূপ নিয়েছে। এতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ছে।
নগরীর দায়িত্ব প্রাপ্তরা শহরের পরিবেশ রক্ষায় বড়-বড় কথা বললেও বাস্তবে তার কোন ব্যবস্থা নেই বললেই মনে হয়। শহর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি বরাদ্দের কোন কমতি আছে বলে মনে হয়না। প্রতিবছর সিটি কর্পোরেশনের বার্ষিক বাজেটে ও শহর উন্নয়নের বরাদ্দ থাকলেও এ বরাদ্দের অর্থ কোথায় যায়, এনিয়ে নগরবাসির মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রত্যাশা শহর উন্নয়নের নামে নাগরিক জীবনে দূর্গতি নয়, নগরের সৌন্দর্য রক্ষায় বর্জ্য দ্রুত অপসারণ, সর্বদা সড়ক সমূহের আর্বজনা দূরীকরণ, নির্মাণাধীনের মালামাল সরিয়ে ফেলা, যাতে নাগরিক জীবন যাপনে ব্যাহত না হয়। এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি দিতে হবে।