ছাতকে নির্মিত হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল্ড প্রকল্প

8
ছাতক পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল্ড নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মোনাজাত করছেন পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী।

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ সরকার, এডিবি এবং ওএফআইডি’র আর্থিক সহায়তায় এবং তৃতীয় নগর পরিচালনা অবকাঠামো উন্নতীকরণ সেক্টর প্রকল্পের আওয়াতায় ছাতক পৌরসভায় নির্মিত হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল্ড প্রকল্প। সিলেট বিভাগের মধ্যে এবং উপজেলা পর্যায়ে কোন পৌরসভায় এটিই প্রথম প্রকল্প। শনিবার দুপুরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শহরের অদুরে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের মাধবপুর এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল্ড প্রকল্প নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী। এ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাধবপুর এলাকায় প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যে রাস্তাসহ ৫.৯ একর ভূমি ক্রয় করা হয়। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ল্যান্ড ফিল্ড প্রকল্প ও এর বাস্তবায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পৌর সচিব খান মোহাম্মদ ফারাবি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর নগরবাসী একটি পরিচ্ছন্ন শহর এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ উপভোগ করতে পারবে। অত্যাধুনিক এ প্রকল্পে বর্জ্য গুলোকে পচনশীল ও অপচনশীল ভাগে ভাগ করে পৃথক করিডোরে রাখা হবে। পচনশীল দ্রব্যগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা হবে সার এবং প্লাস্টিক জাতীয় অপচনশীল দ্রব্যাদি বিভিন্ন কারখানায় বিক্রি করা হবে। বর্জ্য থেকে নিষ্কাশিত ময়লা পানি যাতে ভু-গর্ভস্থ পানিকে দূষিত করতে না পারে সে ব্যবস্থা রয়েছে এ প্রকল্পে। প্রকল্পটি প্রাক্কতালিত মূল্য ৯ কোটি ৩০ লক্ষ ৭৬ হাজার ৫৫ টাকা এবং চুক্তি মূল্য ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৬ টাকা। কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জহিরুল ইসলাম এনড রানা বিল্ডার্স জেবি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে। সভাপতির বক্তব্যে মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, প্রথম শ্রেণীর এ পৌরসভাকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, সুরমা নদীর তীরে বিউটি স্পট, সৌরবাতিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসী এসর সুফল ভোগ করতে পারবে। এসময় পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মৌল্লা, উপ সহকারী প্রকৌশলী দিজেন্দ্র কুমার দাস, প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর আখলাকুল আম্বিয়া সোহাগ, লিয়াকত আলী, ধন মিয়া, সুদীপ দে, আছাব মিয়া,মহিলা কাউন্সিলর সামছুন্নাহার বেগম, তাসলিমা জান্নাত কাকলীসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।