সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের মানববন্ধনে বক্তারা ॥ সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু

26
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে আন্দোলন সিলেটের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও উগ্রবাদী কার্যকলাপের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন সিলেটের উদ্যোগে দেশ-বিদেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও উগ্রবাদী কার্যকলাপের প্রতিবাদে এক বিশাল মানববন্ধন গতকাল ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন সিলেটের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শিব্বির আলম খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শায়খুল হাদীস মাওলানা আব্দুল মতিন ধনপুরী, বিশিষ্ট রাজনীতিক মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মাওলানা হাফেজ নওফেল আহমদ, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা মুফতি জাকারিয়া মাহমুদ, মাওলানা মাহমুদ হাসান, সৈয়দ মাহমুদুল হাসান। আরো বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আব্দুল্লহ আল হেলাল, মাওলানা সোহাইল আহমদ, প্রভাষক আমিনুল ইসলাম, বুরহান উদ্দীন, রুহুল আমিন, আব্দুর রহমান, উজ্জল আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশ অসংখ্য মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ গোষ্ঠী ইসলাম, দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। মানবতাবিরোধী এ চক্রটি বিশ্বব্যাপী একটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়েছে। উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্মীয় ও সামাজিক পরিচয় নেই। বক্তারা বলেন ২৬/১১ মুম্বাই এর জন্য মানবতাবিরোধী একটি কালো দিবস’ হিসেবে যেমনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত তেমনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলা, ঢাকা গুলশানে হামলা সহ নানা ঘটনা এখনো আমাদের কাঁদায়, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরাক সহ পৃথিবীর নানা দেশে সন্ত্রাসীদের হামলায় কত নিরীহ নারী-পুরুষ-শিশুদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিশ্ব বিবেককে ভাবিয়ে তুলেছে। বক্তারা ২৬/১১ মুম্বাই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে শহীদদের স্মরণ করে বলেন পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে জাতি সংঘের প্রতি আহবান জানাই। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের মদদদাতা কোন কোন রাষ্ট্র রয়েছে, জাতিসংঘ এবং ওআইসি সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্রকে বাঁচাতে সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, বক্তারা বলেন, সভ্য সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে জনগণকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি