বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের খুঁজছে

8

স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে গণধর্ষণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে এই ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। গতকাল শনিবার ৩ অক্টোবর বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান সাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ আদালত প্রাঙ্গনে টানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়- মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম মহোদয়গণের বেঞ্চ গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি সুয়োমোটো রুল ইস্যু করে ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজে বিগত ২৫ সেপ্টেম্বর তারিখে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানের নিমিত্ত একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। ‘উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কিংবা যারা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত তারা উক্ত কমিটির নিকট আজ রবিবার ৪ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে জবানবন্দি প্রদান করতে পারবেন।’ কমিটির অফিসের ঠিকানা- কনফারেন্স রুম, জেলা ও দায়রা জজ আদালত (২য় তলা)।
এরআগে গত ১ অক্টোবর দুপুরে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির ৪ সদস্যরা এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন তারা। কমিটির সদস্য ধর্ষণ ঘটনার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মহানগর মুখ্য হাকিম মো: আবুল কাশেম, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিুনুন নেছা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন সুলতানা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার দায় নিরূপণে কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই কমিটিকে পনেরো দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ তরুণী। এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করে পরদিন শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগীর স্বামী মাইদুল ইসলাম। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।