ফের মূল্য বৃদ্ধি

13

দেশের এ ক্রান্তি লগ্নে সুবিধাবাদি ব্যবসায়ীরাা ক্ষুদে পিঁপড়ার মত খুঁদে-খুঁদে সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের চলমান জীবন-প্রবাহে আঘাত করতে প্রতিটি নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর মূল্যে বৃদ্ধি করে এবং জন-জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। পুরনো কায়দায় এ ক্রান্তি লগ্নে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যে বৃদ্ধি কখনও সমুচিত হচ্ছে না। জনস্বার্থে মূল্যে বৃদ্ধি রোধে পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
এদেশের সুবিধাবাদি সুযোগ-সন্ধানী অসাধু ব্যবসায়ীরা সবেমাত্র কয়েকদিন পূর্বে পেঁয়াজের মূল্যে বৃদ্ধি করে, সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করেছিল। সাথে-সাথে সরকারের কার্যকারী পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় পেঁয়াজের মূল্যে একটু নেমে আসলেও আবার যথাস্থানে অবস্থান করছে। এবার এসব অসাধু সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্যে বৃদ্ধি করে সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। এদেরকে রুখতে কি কোন পন্থা নেই।
সম্প্রতি এসব অসাধু ব্যবসায়ী চক্র চাল, ডাল, তেল সহ সব ধরনের নিত্য-পণ্যের মূল্যে বাড়িয়ে সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করে ফায়দা লুটছে। যা কোন বিবেকবানরা মেনে নিতে পারছে না বলে বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
এসব অসাধু ব্যবসায়ী চক্র কম করেনি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের পর মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য গুদামজাত করে স্বাধীনতাকামী মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলতে দ্বিধা বোধ করেনি। সে সময়ে আমরা সাধারণ ছাত্ররা বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র লীগের কর্মীরা থানা ভিত্তিক যৌথ ভাবে ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে দ্রব্যেমূল্যে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সে সময়ে বাঙালির স্বপ্নদষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কঠোর হস্তক্ষেপের প্রেক্ষিতে সাধারণ বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও উগ্রবাদিদের কারণে সাধারণ ক্রেতা দুর্ভোগ লেগেই ছিল।
মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে, অন্ন, একটু ভাতের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম কম করেনি বাঙালি জাতি। মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে চাল, ডাল, তেলের দাম কমাতে এদেশের সাধারণ মানুষ কম ত্যাগ শিকার করেনি। সাধারণ মানুষের অধিকার বাস্তবায়নে জাতির জনক, বাংলার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা-জীবন বাংলার সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়সহ ভাত-কাপড়ের আন্দোলন সংগ্রাম, দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, ঘুষখোর, মজুদদারদের বিরোধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বলে জেল-জুলুম চেপে বসেছিল। জীবনের অধিকাংশ সময় প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। বাঙালি জাতির স্বপ্নদষ্টা ও কল্যাণে নিয়োজিত ত্যাগি জননেতা ছিলেন বলে, সকল মানুষের অধিকার রক্ষায় ‘বাকশাল’ করেছিলেন। কিন্তু বাঙালির চির শত্র“ প্রতিক্রিয়াশীল চক্র সহ্য করতে না পেরে বঙ্গবন্ধুসহ স্ব-পরিবারকে হত্যা করে।
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জন-প্রত্যাশা দ্রব্যে মূল্যে নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হউক।