শেখ মুজিব দিয়েছেন স্বাধীন দেশ শেখ হাসিনা দিচ্ছেন উন্নয়ন – পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

15
সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত অতিথিদের সাথে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
৩ সেপ্টেবর (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজার মিলনায়তনে আলোচনা সভা, ম্যাগাজিন প্রকাশ ও কেকে কাটার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরানুণ হক চৌধুরী, হিমাদ্রী শেখর ভদ্র ও আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যক্রম তুলে ধরেন ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীর।
বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ এড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়েছেন আমাদের স্বাধীন দেশ আর তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিচ্ছেন উন্নয়ন। আমি মাখন রুটি পেয়ে পান্থাভাত ভুলে যাইনি। আমি দেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী হলেও আমার এলাকা আমার কাছে আগে। তিনি সুনামগঞ্জের চলমান বিভিন্ন উন্ননয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আজকে সুনামগঞ্জবাসীকে একটি সুখবর দিতে চাই তা হলো খুব দ্রুত মধ্যনগরকে উপজেলা ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন সুনামগঞ্জ রেল লাইনের কাজ চলমান। ডিজাইনের কাজ চলছে।
সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন সকল গ্রুপ এক হতে হবে। এর জন্য তিনি সুনামগঞ্জ সদর আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে দায়িত্ব দেন। সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি’র কল্যাণ তহবিলের বিষয়ে তিনি তথ্য মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে ঘোষণা দেন।
ছাতক দোয়ারার সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, জাওয়া বাজার উপজেলা হওয়া দরকার কিন্তু এলাকার মানুষ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাওয়া এবং গরুর হাঠ নিয়ে মারামারি হয়ে যাওয়ায় এটা পিছিয়ে যায় আশা করি জাউয়াবাজারও উপজেলা হবে।
এছাড়াও ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, দিরাই, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সাংবাদিক নেতারা যোগদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন।