সুরমা সহ সকল নদ-নদীর পানি কমলেও দোয়ারাবাজারে কমছে না নিম্নাঞ্চলের পানি

37

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমাসহ সকল নদী-নালা, হাওর, খাল-বিলের পানি ক্রমশ কমলেও নিম্নাঞ্চলে রয়েছে অপরিবর্তিত।
উপজেলার সুরমা, বগুলা, লক্ষ্মীপুর, বাংলাবাজার ও নরসিংপুর ইউনিয়ন থেকে পানি মোটামুটি কমেছে। পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণ বন্ধ হলে আগামি দু-চার দিনের মধ্যে ফসলি চাষাবাদযোগ্য হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষকরা।
তবে দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও, মান্নারগাঁও ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় পানির স্থিতিশীলতায় আমনসহ আগামি মওসুমি ফসল উৎপাদন অনিশ্চিতের আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এমনিতেই পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বানভাসিরা। এ ছাড়া খাদ্য সংকটে প্লাবিত এলাকার হালের বলদসহ গবাদি পশু-পক্ষিরা আহাজারি করছে।
এদিকে, উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কগুলো উপর্যুপরি বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের তোড়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও খামারিদের কয়েক কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়া ছাড়াও দু’দফা রোপা আমনের বীজতলা ও সবজি খেত বিনষ্ট হওয়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন উপজেলাবাসী। জমি থেকে পানি না নামায় শেষ দফা বীজ বুনতে দেরি হওয়াতে আমনসহ অগ্রহায়ণী মওসুমি ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
তাই বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে বকেয়া কৃষিঋণ মওকুফসহ বিনাসুদে নতুন ঋণ প্রদান, বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ, ধানের বীজ, চারা, সার ও মাছের পোনা বিতরণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন উপজেলাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমানে সুরমাসহ সকল নদনদী ও হাওর খাল-বিলের পানি সব এলাকা থেকেই ক্রমশ কমছে। তা ছাড়াও বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।