জকিগঞ্জ-শেওলা সড়কে ট্রাকের দৌরাত্ম্য, পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে

6

জেড.এম.শামসুল :
জকিগঞ্জবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কটি নব্বই দশকের দিকে নির্মিত হলেও বর্তমানে সড়কটি ভারী ট্রাক চলাচলের রোড হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। ফলে সাধারন পথচারী চলাচলে বিঘ্নতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না।
১৯৪৭ সালে দেশ-বিভাগের সময় জকিগঞ্জকে প্রস্তাবিত মহকুমা ঘোষণা দেয়ার পর-পরই বিয়ানী বাজার ও বড়লেখার জনগণ জকিগঞ্জ মহকুমা সদরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য শেওলা-জকিগঞ্জ সড়ক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সড়কটি হচ্ছে এ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কয়েক যুগ অপেক্ষার পর ৭০ এর পর ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতার পর ৭৩ এর সাধারণ নির্বাচনে জকিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবিটি গুরুত্ব পায়। এ নির্বাচনে ন্যাপের প্রার্থী আবুল বাইছ কুঁড়ে ঘর নিয়ে ও এম.এ.লতিফ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম.এ.লতিফ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সরাসরি আলাপ করে, শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেন। ৭৭/৭৮ সালে জকিগঞ্জের কৃতি সন্তান ডি,আই,জি এম,এ.হক উদ্যোগ নিয়ে শুরু হয় জকিগঞ্জের দাবি আদায়ের আন্দোলন।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সড়কটি শুধু যাত্রী চলাচলের জন্য নির্ধারিত থাকলে ও এখন ভারী-ভারী ট্রাক চলাচলে রূপ নিয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। যদিও জিরো পয়েন্টে বড়-বড় অক্ষরে লিখা রহেছে, এ সড়ক দিয়ে ভারী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ , এ নির্দেশ নামাকে উপেক্ষা করে ২৪ ঘন্টা ট্রাকের লরী চলছে। ফলে এ সড়কের প্রয়োজনের চেয়ে ছোট-ছোট ব্রীজ নামের কালভার্টগুলো ঝুঁকিপূর্ণ।
এ সড়কে দুর্ঘটনা রোধে জরুরী ভিত্তিতে ট্রাক চলাচল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার বিকল্প নেই।