আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মায়ের ইন্তেকাল

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের মা এবং এডভোকেট সিরাজুল হকের সহধর্মিণী বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হককে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো রাজধানীর বনানী কবরস্থানে। এর আগে শনিবার বাদ জোহর বনানীর ১১ নম্বর রোড সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জামে মসজিদে পারিবারিকভাবে ও সীমিত পরিসরে মরহুমার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় জানাযার পর মরহুমাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জাহানারা হক ২৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখ থেকে এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবত হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী আনিসুল হক তার ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। মন্ত্রীর একমাত্র বড় বোন সায়মা ইসলাম ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখে গেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ রিনা হককে হারান আইনমন্ত্রী। এরপর তিনি আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। তার কোন সন্তান নেই। ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ সহচর আনিসুল হকের পিতা এডভোকেট সিরাজুল হক। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, জাতীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, অন্যতম সংবিধান প্রণেতা, প্রখ্যাত আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চীফ প্রসিকিউটর ছিলেন।
জাহানারা হকের জানাজায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিচারপতি ড. জাকির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারওয়ারসহ আইন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হকের মাতা এবং এ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের সহধর্মিণী বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক, শুক্রবার রাত ৩:৪০ মিনিটে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
আইনমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জুডিসিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন প্রমুখ।
আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।