৩৩ মাস পর জ্ঞান ফিরল আয়াক্স মিডফিল্ডার নুরির

7

স্পোর্টস ডেস্ক :

সুস্থ থাকলে হয়তো আয়াক্সের সোনালি প্রজন্মের সদস্য হতেন তিনি। ম্যাথিস ডি লিট-ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ংদের যেভাবে জুভেন্টাস-বার্সেলোনার মতো ইউরোপের ধনী ক্লাবগুলো দলে ভিডিয়েছে তেমনি আবদেলহাক নুরিকে নিয়েও যে টানাটানি হতো না তার কি বিশ্বাস!

তার সময়ের সম্ভাবনাময় উঠতি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ছিলেন তিনি। নেদারল্যান্ডসের বয়সভিত্তিক দলের এ পরিচিত মুখ আয়াক্সের যুব দলের পর মূল দলেরও অন্যতম সদস্য হয়ে ওঠার পথে ছিলেন। ২০১৫-১৭ মৌসুমে ডাচ ক্লাবটির হয়ে ইরেদিভিসিতে ৯টি ম্যাচও খেলেছেন। সব মিলিয়ে আয়াক্সের হয়ে ১৯ বছর বয়সেই ১৫ ম্যাচ খেলেছিলেন নুরি।

কিন্তু ভাগ্যটা তার সহায় হয়নি। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে আয়াক্সের হয়ে জার্মান ক্লাব ওয়ের্ডার ব্রেমেনের সঙ্গে এক প্রীতি ম্যাচে খেলতে গিয়ে মাঠের মধ্যে ‘কার্ডিয়াক অ্যারহিদমিয়া অ্যাটাক’ আক্রান্ত হন নুরি। মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে চলে যান কোমায়। এরপর যেন মাঠের পরিবর্তে হাসপাতালই হয়ে ওঠে তার ঘর।

কার্ডিয়াক অ্যাটাকের পরপরই মাঠে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না থাকায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আয়াক্সই তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় বহন করে।

তবে আশার কথা, দীর্ঘ ২ বছর ৯ মাস অর্থাৎ ৩৩ মাস পর কোমায় অচেতন থাকার পর জেগেছেন নুরি। ডাচ এক গণমাধ্যমের বরাতে এমনটাই জানিয়েছে বিইন স্পোর্টস।

কোমা পর্যায় থেকে জেগে অন্যের উপর নির্ভরশীল নুরি এখন কেবল ‘খাচ্ছেন, ঘুমাচ্ছেন এবং ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন’। এমনটাই জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

ডাচ টিভি শো দে উইরেলদ দ্রাইত দোরে আবদেলহাক নুরি’র ভাই আবদেররহিম নুরি জানান, সাবেক আয়াক্স তারকা এখন বসতে পারেন, পরিবারের সঙ্গে টিভিতে ফুটবল ম্যাচ দেখেন এবং অনুভূতিও প্রকাশ করতে পারেন।

আবদেররহিম বলেন, ‘সে (নুরি) বাড়িতে আছে বেশিদিন হয়নি। আমরা এখন তার দেখাশোনা করছি। এটা অবশ্যই বলতে হবে, বাড়িতে সে যতদিন ধরে আছে তাতে সে হাসপাতালের চেয়ে এখানে ভাল অনুভব করছে। সে ঘুমায়, হাঁচি দেয়, খায়, ঢেঁকুর তোলে। কিন্তু সে সব বিছানাতেই করে। সে শয্যাশায়ী এবং এখনও আমদের উপর নির্ভরশীল।’