দিরাই খাদ্য গুদামে কৃষক ধান দেননি !

37

এ কে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
বোরো সংগ্রহ ২০১৯ এর আওতায় দিরাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কৃষি কার্ড সংগ্রহ করে লটারীর মাধ্যমে দিরাই খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয়কারী কৃষকদের নির্বাচিত করা হয়।
খাদ্যগুদামে ধান দেওয়া শুরু থেকেই হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন কৃষকের পক্ষে আন্দোলন করে আসছে। তারা শুরু থেকেই অভিযোগ করছেলেন কৃষকরা ধান দিতে পারছে না। ধান দিচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগিরা।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলন জেলার সকল উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয়কারী কৃষকদের এবং চাল সরবরাহকারী মিলের তালিকা, ঠিাকানা মোবাইল নম্বর চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন বিভিন্ন গুদামে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দিরাই উপজেলা খাদ্যগুদাম তালিকা সরবরাহ করলেও কৃষকের এবং মিল মালিকদের মোবাইল নাম্বার দেয়নি।
তালিকা ধরে কৃষকের বাড়িতে গেলে বেরিয়ে আসে অনেক তথ্য। তালিকায় দেখো যায়, দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা গ্রামের কৃষক আব্দুল বাতেন কৃষি কার্ড নং ৩৮১, সুলেমান কৃষি কার্ড নং ৩৩১, জাহাঙ্গিল আলম কৃষি কার্ড নং ১৪২৩, সাজু মিয়া কৃষি কার্ড নং ১৪২৫ এর অনুকূলে ধানবিক্রয় করেন। বকন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা কেউই কৃষক নন। হাওরে তাদের নামে কোন জমিও নেই। তারা কিভাবে কৃষি কার্ড পেলেন?
কাইমা গ্রামের কৃষক সুলেমান জানান, রাজানগর ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রানিয়া বেগম আমাকে ধর্মীয় ভাই বানিয়েছেন, তিনি আমাকে কার্ড বানিয়ে দিয়েছেন এবং আমার নাতে গুদামে ধান দিয়েছেন সেখান থেকে আমি তিন হাজার টাকা পেয়েছি।
জাহাঙ্গির আলম জানান, রানিয়া মেম্বারনি আমার কার্ড নিয়েছে এবং দিরাই আমাকে নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে। কার্ড দিয়ে কি করেছে জানিনা।
আব্দুল বাতেন জানান, আমার এক আত্মীয় আবুল হোসেন আমার কার্ড নিয়েছিলেন এখন পর্যন্ত কার্ড ফেরৎ পাইনি।
ইউপি সদস্য রানিয়া বেগম বলেন, কাইমার কৃষক সুলেমান এবং জাহাঙ্গির নিজে গুদামে ধান দিয়েছে তাদের একাউন্টে তারা টাকাও নিয়েছে। এর বেশী কিছু আমি জানি না।
কাইমা গ্রামের সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু ছালিম এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গ্রামের অনেক কৃষক থাকতে এদের টার্গেট করা হলো কেন? এদেরতো হাওরে কোন জমি নেই তারা কৃষি কার্ড পায় কিভাবে? এঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের খোঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।