অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৮

4

সিডনি অস্ট্রেলিয়া থেকে সংবাদদাতা :
এবার অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সী এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম জায়ান্ট জেমস কোয়ান। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস এবং কুইন্সল্যান্ডে নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ২৮-এ পৌঁছে যাওয়ার পর এই প্রথম কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকালে স্যার চার্লস গায়ারডনার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত মাসের শুরুতে মি. জায়ান্ট জেমস কোয়ান’ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ডারউইন থেকে চলে গিয়েছিলেন, এবং ঐ সময় তিনি ভাইরাসের প্রতি ইতিবাচক পরীক্ষাও করিয়েছিলেন।
গত ফেব্র“য়ারি মাসে নিহত জায়ান্ট জেমস কোয়ান সহ ১৬৪ জন আরোহী নিয়ে ডায়মন্ড প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজটি বিচ্ছিন্ন হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সীমায় এসে হাওয়ার্ড ¯িপ্রংসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর অস্ট্রেলিয়ার কোষ্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
মিঃ কোয়ান ছিলেন পার্থের সোয়ান ভ্যালির দ্য ভাইনস গল্ফ ক্লাবের সদস্য। রবিবার রাতে ক্লাবটি তার ফেসবুক পেজে মিঃ কোয়ানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনা ভাইরাসে রবিবার পর্যন্ত ২৮ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে।
এদিকে রবিবার সকালে ভিক্টোরিয়া রাজ্যে এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হওয়া ত্রিশোর্ধ ঐ ভিক্টোরিয়ান যিনি সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরে এসেছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার মালেশিয়ার কুয়ালালামপুর ও বালি হয়ে তেহরান থেকে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আসার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি মালিন্দো এয়ারের ফ্লাইট ওডি ১৭৭ এ ভ্রমণ করেছিলেন এবং শুক্রবার ভোরে মেলবোর্নে অবতরণ করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার ‘নিউ সাউথ ওয়েলস’ এর স্বাস্থ্য বিভাগ রবিবার সকালে জানিয়েছে, চল্লিশোর্ধ ইরান থেকে আসা মহিলার শরিরে করোনা ভাইরাসের হালকা লক্ষণ রয়েছে। সিডনির ওয়েস্টমিড হাসপাতালে তাকে পৃথকীকরণের অধীনে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এই ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করা আরো ছয় জনকেও পৃথক করা হয়েছে। এই ছয় জনের মধ্যে দুজনের শ্বাস প্রশ্বাসে হালকা অসুস্থতার লক্ষণ রয়েছে এবং তারা পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন। সিডনির ওয়েস্টমিড হাসপাতালে সতর্কতামূলকভাবে তাদের রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নিউ সাউথ ওয়েলস স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন অস্ট্রেলিয়ায় এই রোগের প্রবাহ রোধ করতে এবার ইরান থেকে আসা লোকজনের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দেন।
রবিবার ( ফেব্র“য়ারি) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।