জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে কামরুল হুদা জায়গীরদার ॥ মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন

9
ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের ২ বছর পূর্ণ উপলক্ষে ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেছেন, কথিত দুর্নীতি কিংবা কোন অপরাধ নয়। জনপ্রিয়তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র অপরাধ। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও দেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিনত করতেই গণতন্ত্রের মা কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। দেশে প্রতিদিনই হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার হচ্ছে। কিন্তু দলীয় লোক থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। মাত্র দুই কোটি টাকা দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীকে সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ সেখানে কোন দুর্নীতি হয়নি বরং দুই কোটি বেড়ে ৪ কোটি টাকা হয়েছে। কারান্তরীণ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন। জামিন তাঁর আইনী ও মৌলিক অধিকার। প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচিত মামলার আসামীরা থেকে শুরু করে ফাসির আসামীরা পর্যন্ত জামিনে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বুদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁকে জামিন দিচ্ছেনা। দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে আর কোন টালবাহানা মেনে নেয়া হবেনা। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। অন্যথায় রাজপথের কঠোর আন্দোলনেই দেশনেত্রীর মুক্ত করা হবে।
তিনি শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারাবরণের দুই বছর পূর্ণ হওয়ায় ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলটি নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে জিন্দাবাজারস্থ সিটি পয়েন্টে গিয়ে সমাপ্ত হয়। মিছিলে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, ফখরুল ইসলাম ফারুক, এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী ও আবুল কাশেম, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক একেএম তারেক কালাম, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ইউনুস মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি