কোম্পানীগঞ্জে পাথর উত্তোলন বন্ধে মাইকিং, বসানো হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি

7

স্টাফ রিপোর্টার :
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত শাহ আরফিন টিলায় গর্ত করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাকের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মাইকিং করেন।
মাইকিংয়ে বলা হয়, শাহ আরফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধের জন্য হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। এই আদেশ অমান্য করে যারা টিলা কেটে, গর্ত করে পাথর উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজল কুমার কানু বলেন, শাহ আরফিন টিলায় হাই কোর্টের আদের্শ অমান্য করে কোনভাবেই অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধে সকল ধরনের ব্যবস্থা প্রসাশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, শাহ আরফিন টিলা ছাড়াও উৎমা এলাকার এডিএমএ’র বাগানসহ যেসব স্থানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন হচ্ছে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, একটি সূত্র জানায়, রাতের আধারে পাথর উত্তোলন বন্ধে কোয়ারিতে বসানো হচ্ছে পুলিশ ফাঁড়ি। ইতোমধ্যে শাহ আরেফিন টিলায় এই পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গত সোমবার জেলা প্রশাসক ববাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এমনটা জানিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, পাথর সম্পদে ভরপুর ভোলাগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ও কালাইরাগে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় কোয়ারির গর্তের মালিকরা ভিন্ন পন্থায় পাথর উত্তোলন করছেন। দিনের বেলা টাস্কফোর্সের অভিযান চলায় তারা হাজারো শ্রমিক লাগিয়ে রাতের আধারে পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এ কারণে একের পর এক গর্ত ধস ও শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাতের আধারে পাথর উত্তোলন বন্ধে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ফাঁড়ি স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দাবী করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।