ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ঢাকা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জয়ী দলের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম।
এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ঢাকার দেয়া ১৪৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম। দলের পক্ষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৪ বলে চারটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১২ বলে ২৫ করেন জিয়াউর রহমান। ক্রিস গেইল ৩৮ করেন। ১২ করে অপরাজিত থাকেন ওয়ালটন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে শাদব খান ২টি ও মেহেদী হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে মাত্র ২ রান নেয়। তবে, তৃতীয় ওভার থেকে মেরে খেলতে শুরু করে তারা। দলীয় ৪২ রানে মেহেদীর বলে স্ট্যাম্পিং হন জিয়াউর। এরপর গেইল ও ইমরুল জুটিতে এগোতে থাকে চট্টগ্রাম। দলীয় ৯১ রানে শাদবের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে থিসারার হাতে ক্যাচ হন ইমরুল।
তারপর নামেন অধিনায়ক রিয়াদ। গেইল উইকেটে টিকে থাকলেও বড় শট খেলছিলেন না। দলীয় ১০২ রানে শর্ট ফাইন লেগে মাশরাফির হাতে ধরা পড়েন গেইল। এক হাত দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মাশরাফি। পরে রিয়াদ ও ওয়ালটন জুটিতে জয়ে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
এর আগে টস জিতে ঢাকা প্লাটুনকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম কাপ্তান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৬০ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায় ঢাকার। পরে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শাদব খানের একক নৈপুণ্যে ১৪৪ রানের পুঁজি আসে।
ওপেনিংয়ে নামেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হক। তবে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন এই ওপেনার। এরপর ইনিংসের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে বিজয় ও লুইস রিসি শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।
খানিক বাদেই চট্টগ্রামের পেসার রায়াদ এমরিতের জোড়া আঘাতে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও জাকের আলী শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলে বিপদ আরো ঘনীভূত হয়। ফলে ৯ ওভারে ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা প্লাটুন।
তবে ঘনঘন উইকেট পতনের মাঝেও ধরে খেলতে থাকেন মুমিনুল হক। পরে চট্টগ্রামের জন্য কাটা হয়ে থাকা মুমিনুলকেও তুলে নেন পেসার এমিরত। সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে ৩১ রান করেন মুমিনুল।
এরপর নিজের দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে ৩ রানে থাকা আসিফ আলীকে ফেরান নাসুম আহমেদ। শেষদিকে শাদব খান ও থিসারা পেরারার ৪৪ রানের পার্টনারশিপের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪৪ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা। আউট হওয়ার আগে পেরারা ১৩ বলে ২৫ করেন। শাদব ৪১ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের হয়ে রায়াদ এমরিত ৩টি, নাসুম আহমেদ ২টি, রুবেল হোসেন ২টি, মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৭ উইকেটে জয়ী চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ঢাকা প্লাটুন ইনিংস: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
(তামিম ৩, মুমিনুল ৩১, এনামুল ০, রিসি ০, মেহেদী হাসান ৭, জাকের আলী ০, শাদব ৬৪*, আসিফ আলী ৫, থিসারা ২৫, মাশরাফি ০; রুবেল হোসেন ২/৩৩, রানা ০/২৯, নাসুম আহমেদ ২/১১, মাহমুদউল্লাহ ১/৫, এমরিত ৩/২৩, জিয়াউর রহমান ০/৩৯)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ইনিংস: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
(গেইল ৩৮, জিয়াউর ২৫, ইমরুল ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৩৪*, ওয়ালটন ১২*; মাশরাফি ০/৩৩, মেহেদী হাসান ১/২০, হাসান মাহমুদ ০/৩৫, রিসি ০/১০, থিসারা ০/১৪, শাদব ২/৩২)।
ম্যাচ সেরা: রায়াদ এমরিত (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।