বিশ্বনাথে জাল রশিদে কর আদায় করতে গিয়ে ধরা পড়লেন মাঠকর্মী

10

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ^নাথ সদর ইউনিয়ন পুরষদের রশিদ জাল করে কর আদায় করতে গিয়ে মোস্তাক আহমদ নামের এক মাঠকর্মী ধরা পড়েন। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিশ^নাথ নতুনবাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামিম আহমদ ওই মাঠকর্মীকে আটক করেন। এ সময় মাঠকর্মী আটকের খবর পেয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মাঠকর্মী মোস্তাককে ছাড়িয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন জানাইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ নতুন বাজার বণিক কল্যাণ সিমিতর সভাপতি শামীম আহমদ। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, নকল রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করার সময় তিনি মোস্তাক আহমদ নামের এক মাঠকর্মীকে আটক করেন। এ সময় কর আদায়কারীর কাছে একই নব্বরের দুটি রশিদও পান। পরবর্তিতে ওই মাঠকর্মীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট নিয়ে যেতে চাইলে বিশ্বনাথ ইউনয়িন পরিষদের সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকার তার নিজ জিম্মায় ওই মাঠকর্মীকে নিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি। সচিব বিজিৎ চন্দ্র সরকারও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, জালসহ দুটি রশিদ শামীম আহমদের জিম্মায় রয়েছে।
জানা গেছে, সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ^নাথ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রশিদের মাধ্যমে কর আদায় করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার কর আদায় করতে রশিদ বই নিয়ে জানাইয়া গ্রামের শামীম আহমদের বাড়িতে যান মোস্তফা নামের মাঠকর্মী। সেখানে গিয়ে কর আদায়ের জন্য রশিদ বই বের করলে ৩৪৭ নাম্বারে দুটি রশিদ দেখতে পান শামীম। তারমধ্যে একটি রশিদ রয়েছে গম দিয়ে লাগানো। সেটি স্পষ্ট জাল। এ জালিয়াতির বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে জানান শামীম। অবশেষে শামীমের বাড়ি থেকে ওই কর আদায়কারী মাঠকর্মীকে ছাড়িয়ে নেন সচিব।
তবে, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেছেন, চুক্তিনামার মাধ্যমে প্রতিবছর একটি সংস্থার মাধ্যমে তারা কর আদায় করে থাকেন। এবছরও কর আদায় করা হচ্ছে, তবে জাল কি না তা তিনি বলতে পারছেন না।