ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিন

18

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শুরু হয়েছে ঈদ যাত্রা। ঈদের মূল ছুটি রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত। কিন্তু এবারও নাজুক সড়ক-মহাসড়ক ঈদ যাত্রায় বিঘœ ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এবার বন্যায় সওজ অধিদপ্তরের ৮০১ কিলোমিটার মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহাসড়কের সংস্কারকাজ শেষ না হওয়া এবং পশুবাহী ট্রাকের বিশৃঙ্খল চলাচলের কারণে বিভিন্ন মহাসড়ক ও রাজধানীর সড়কগুলোর স্থানে স্থানে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে পুরোদমে হাট জমতে শুরু করলে যানজট ও বিশৃঙ্খলা আরো বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মহাসড়কের নাজুক অংশ সংস্কার করার কথা রয়েছে। কিন্তু কাজের ধীরগতিই আশঙ্কার মূল কারণ। স্থায়ী সংস্কারকাজ না করে ইট-বালু ফেলে কোথাও কোথাও সংস্কার করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে এই অংশগুলো নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা আবারও সমস্যার সৃষ্টি করবে।
সমস্যা আরো আছে। ঈদের সময় ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ে। নিকটজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে মানুষ। স্বাভাবিক কারণেই এ সময় আন্ত জেলা বাস কম্পানিগুলো তাদের ট্রিপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামাল দিতে চালু হয় বিশেষ সার্ভিস। এ সময় বিআরটিসিও বিশেষ সার্ভিস চালু করে। কিন্তু ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দেওয়া অনেক সময় সম্ভব হয় না। আবার ঈদের সময় দেখা যায়, আঞ্চলিক রুটের অনেক বাস চলে আসে মহাসড়কে। এসব বাস মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক জায়গায় সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসে। ফলে এই হাটগুলোও যানজটের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। এসব হাটে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ঢোকা ও বের হওয়ার পথে যানজটের সৃষ্টি হবেই। তবে যেকোনো মূল্যে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে। ভাঙাচোরা রাস্তা যেন কোনো দুর্ঘটনার কারণ না হয় সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। রাস্তা মেরামত করা গেলে ঈদ যাত্রার দুর্ভাবনা থাকবে না। সেই সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় করতে হবে।