সিলেটে বন্যার কবলে সাড়ে ৪ লাখ শিক্ষার্থী

6

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৪৭৫ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) ও শিক্ষার্থী সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তবে বন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। খুব শিগগিরই পাওয়া যাবে।
সিলেট বিভাগের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর গত ২২ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ই-ভ্যালুয়েশন উইং থেকে সব আঞ্চলিক পরিচালক ও উপপরিচালকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। আঞ্চলিক অফিসগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি প্রতিবেদন পাঠায় অধিদফতরে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠদান সম্ভব। আংশিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব প্রায় একশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় সাড়ে ৪ শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জেলাভিত্তিক তথ্যে জানানো হয়- সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার ৩৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ১৯৩ জন। বন্যাকবলিত এলাকার ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠদান কার্যক্রম সম্ভব। আংশিকভাবে পাঠদান সম্ভব ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান এখনও কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়। ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ২৬২ জন। বন্যাকবলিত ২৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনওটিতেই এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার ৫টি উপজেলার ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত। প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ৩৮ হাজার ৩৫৯ জন। ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনওটিতেই এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলার ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬৬১ জন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলার ৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।