জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ ॥ গ্রুপিং রাজনীতি পরিহার করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন ॥ যুবলীগ করতে হলে মুজিব আদর্শের উত্তরসূরী হতে হবে-ওমর ফারুক

18

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, আওয়ামী রাজনীতিতে গ্র“প হবে একটাই আর সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা গ্র“প। জেলা-উপজেলা গুলোতে নেতার নামে যারা গ্র“প তৈরী করেন তারা দলের ঐক্য ভেঙে দিয়ে ফাঁটল ধরান। এতে দলের লাভের চেয়ে ক্ষতি হয় বেশী। এসব গ্র“পিং রাজনীতি

জেলা যুবলীগের সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী।

পরিহার করে সকলে মিলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে প্রথম পর্বে সিলেট জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
সিলেট জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামীম আহমদের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহসিন কামরানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমদ মজুমদার এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোহাম্মদ আতাউর রহমান, এডভোকেট বেলাল হোসেন, ড. আহমদ আল কবীর, মোতাহার হোসেন সাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, ফজলুল হক আতিক, ফারুক হাসান তুহিন, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, ত্রাণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ হায়দার লিটন, সহ সম্পাদক তারেক আল হাসান, মোয়াজ্জেম হোসেন, হাবিবুর রহমান পবন ও রবিউল আলম।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন দিলীপ কুমার।
এর আগে সোমবার সকাল ১১টায় দীর্ঘ ১৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলন শুরু হয়। এ সময় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রেজিস্টারি মাঠ সংলগ্ন এলাকার চারপাশ বিভিন্ন প্রার্থীর ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের পর সিলেট জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়নি। ২০০৩ সালে যুবলীগের সম্মেলন হলেও ভোট হয়নি। সমঝোতার মাধ্যমেই ওই সম্মেলনে জগদীশ চন্দ্র দাসকে সভাপতি ও আজাদুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এরপর আর কোনো সম্মেলন হয়নি জেলা যুবলীগের।