নিউজিল্যান্ডকে সহজেই হারাল অস্ট্রেলিয়া

11

স্পোর্টস ডেস্ক :
করোনা-আতঙ্কে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে সহজেই হারাল অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার সিডনিতে অনেক আলোচনার এ ম্যাচে ৭১ রানের বড় জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে এ্যারন ফিঞ্চের দল। ডেভিড ওয়ার্নার (৬৭), ফিঞ্চ (৬০) ও মার্নাস লাবুশেনের (৫৬) তিনটি হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ৪১ ওভারে ১৮৭ রানে অলআউট হয় কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন মিচেল মার্শ। ব্যাট হাতে ২৭ রান করার পর বোলিংয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট। তবে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে এদিন দু’দলের ক্রিকেটাররা করমর্দন করেননি, এমনকি ফিল্ডিংয়ে সতীর্থদের মধ্যে সেই চিরায়ত হাইফাইভও করতে দেখা যায়নি। ছক্কায় উড়ে যাওয়া ফাঁকা গ্যালারি থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হয়েছে ফিল্ডারদের। সেই ২০০২ সালে সিডনিতে কোন ওয়ানডে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর থেকে এখানে ফল হওয়া সব ম্যাচেই হেরেছে দেশটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার ও ফিঞ্চের ব্যাটে শুরুটা ভাল করে অস্ট্রেলিয়া। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার দলকে দাঁড় করান দৃঢ় ভিতের ওপর। লোকি ফার্গুসনের গতিময় শর্ট বলে ভাঙ্গে ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। মিডঅনে ইশ্ সোধির হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় ওয়ার্নারের ইনিংস। ৮৮ বলে নয় চারে ৬৭ রান করেন তিনি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বেশিদূর যেতে পারেননি ফিঞ্চ। অধিনায়ক দুই ছক্কা ও তিন চারে ৭৫ বলে করেন ৬০ রান। স্টিভ স্মিথ, ডি অর্চি শর্টের দ্রুত বিদায়ের পর দলকে টানেন লাবুশেন। ৫২ বলে দুই চারে এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান করেন ৫৬ রান। মিচেল মার্শ, প্যাট কামিন্সের ছোট ছোট অবদানে আড়াই শ’ ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ। সোধি ৫১ রানে নেন ৩ উইকেট। মিচেল স্যান্টনার ও ফার্গুসনের শিকার দুটি করে।
জবাবে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকটে হারায় নিউজিল্যান্ড। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি উইলিয়ামসন। এ্যাডাম জাম্পার দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান কিউই অধিনায়ক। একপ্রান্ত আগলে রাখা মার্টিন গাপটিলের প্রতিরোধ ভাঙ্গেন কামিন্স। একটি করে ছক্কা ও চারে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন সফরকারী ওপেনার। ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে কিছুটা টানেন টম লাথাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। লাথামের বিদায়ের পর আর তেমন কোন জুটি গড়ে ওঠেনি। গুটিয়ে যায় ৯ ওভার বাকি থাকতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় হোয়াইটওয়াশ হওয়া অস্ট্রেলিয়া জয়ে ফেরে বোলারদের মিলিত অবদানে। মার্শ ও কামিন্স নেন ৩টি করে উইকেট। দুটি করে শিকার জশ হ্যাজলউড ও এ্যাডাম জ্যাম্পার। একই ভেন্যুতে রবিবার দ্বিতীয় ওয়ানডে।