ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা নগরীর দর্জিপাড়ায়

30
ঈদকে সামনে রেখে দর্জিপাড়ায় এখন চরম ব্যস্ততা। ছবি- রেজা রুবেল

স্টাফ রিপোর্টার :
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখর নগরীর দর্জিপাড়া। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই। দর্জিপাড়ার কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই এখন। অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হয়েছে ২০ দিন আগে থেকেই। এজন্য সাধারণ দিনের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন তারা। তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার নেওয়া প্রায় বন্ধ, চলছে পোশাক সরবরাহের কাজ।
নগরীর বিভিন্ন দর্জিপাড়া ঘুরে দেখা যায়, গলায় ফিতে ঝুলিয়ে রঙিন চক দিয়ে কাপড়ে দাগ দিচ্ছেন কাটিং মাস্টাররা। ঘচঘচ করে কাপড় কাটছেন। মেপে মেপে কাপড় কেটে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের আকার আনছেন। এরকম ব্যস্ততার মাঝে যখন কোনো গ্রাহক পোশাক বানাতে আসছেন, ঝটপট মাপজোক নিয়ে নিচ্ছেন। মাস্টারের হাতে কাপড় কাটা শেষ হলে সেলাইয়ের জন্য তা চলে যাচ্ছে কারিগরদের কাছে। এরকম দৃশ্য নগরীর মার্কেট পাড়ার বিভিন্ন নামীদামী দর্জিপাড়া থেকে পাড়া মহল্লার টেইলারিং শপেও। তবে মজুরি বাড়ানো নিয়ে মধ্যবিত্তদের রয়েছে অভিযোগ। তারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে মজুরি বাড়ানো সঠিক হয়নি। ঈদে কাপড়ের দাম বেড়েছে। এছাড়া অন্য সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বধমুখী। এ অবস্থায় টেইলার্সের মজুরি বাড়ানো মানে মধ্যবিত্তদের বাড়তি কষ্ট।
টেইলার্স মালিকরা বলছেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি পাড়ায়। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরাও। আবার কোনও কোনও টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমী কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে। এ জন্য এ সময়ে মজুরি একটু বাড়ানো হয়েছে।
দর্জিপাড়ার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবারের ঈদে এক সেট থ্রি-পিস বানাতে মজুরি লাগছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। আর শুধু সালোয়ার বানালে মজুরী রাখা হচ্ছে ১৫০ টাকা। অন্যদিকে, পুরুষদের শার্ট তৈরির মজুরী রাখা হচ্ছে ২৮০ টাকা, প্যান্টের মজুরী রাখা হচ্ছে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, পাঞ্জাবির মজুরী রাখা হচ্ছে ৩৫০ টাকা আর পাজামার ২৫০ টাকা। তবে একসাথে অনেকগুলো বানানোর অর্ডার দিলে কিছু কম রাখা হচ্ছে।
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ইমরান জানালেন, রোজার আগে থেকেই পোশাকের অর্ডার আসছে। অনেকে ভীড় বাড়ার আগেই ছিট কাপড় কিনে পোশাক বানানোর ঝামেলা সেরে ফেলতে চাইছেন। গত কয়েকদিন ধরে আমদের দর্জির দোকানগুলোতে ভীড় বেড়েই চলেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজের চাপ এখন পুরোদমে বেড়ে গেছে এবং আশা করি এবার আমরা লাভবান হতে পারবো।