বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে কালবৈশাখী তান্ডবে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড

26
বালাগঞ্জে কালবৈশাখীর তান্ডবে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড।

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলায় কাল বৈশাখীর তান্ডবে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হয়ে নয়টা পর্যন্ত প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপি স্থায়ী ঝড়-তুফানের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ বাড়ির ঘরের চাল উড়ে গেছে। বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার একাধিক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়াসহ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ছিড়ে পড়েছে। এতে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত দুই উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক তথ্যমতে ওসমানীনগর উপজেলায় প্রায় ২৮ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৭৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো ৫৭টি। তবে সরকারি হিসেবের বাইরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খরব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ গ্রাম এবং উমরপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন বলেন, আমার ইউনিয়নের ইলাশপুর, হাসামপুর, রিফাতপুর, দক্ষিনগহরপুর, বদরনগর, নবীনগর, সত্যপুর, কাজিপুর, বাবরকপুর, করছারপারসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৬টি ঘর পুরোদমে ভেঙে পড়েছে আরো ৯১টি ঘরবাড়ি ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, তার ইউনিয়নে প্রায় ২৫টি ঘর ভেঙে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘর। এছাড়া উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের আজিজপুর, দোহালিয়া, হায়দরপুর, রতনপুর চরআলাপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে অধিক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোহালিয়া গ্রামের নুনু মিয়া জানান- ঝড়ে তার ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বাড়ির বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে গেছে। হায়দর পুর গ্রামের অজিত সূত্র ধর জানান, তার ঘরের চালের উপর গাছ উপরে পড়ে ঘরটি ভেঙে গেছে। বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা প্রীতি ভুষন দাস বলেন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় মোট ৭০টি ঘর শতভাগ ভেঙে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।