গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজারের দোকানে দু:সাহসিক চুরি

136

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দোকান কোটার স্ট্রিলের দরজা ও গ্রিলের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতূনবাজারের এ হোসেন মার্কেটের মেসার্স কচির আলী স্টোরে ঘটেছে। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো মেসার্স কচির আলী স্টোরটিতে দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দোকানের মালিক শানুর আলী জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাত ১২টার তিনি তার দোকানঘর বন্ধ করে বাসায় চলে যান। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেখেন ঘরের পিছনের স্ট্রিল দরজা ও গ্রিলের তালা ভেঙ্গে সকল ধরণের সিগারেট, চা-পাতা, ফ্রেস দুধসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরেরা। ক্যাশের তালা ভেঙ্গেও নিয়ে গেছে নগদ প্রায় ৫০হাজার টাকা। তাৎক্ষণিক বিষয়টি তিনি আশপাশ ব্যবসায়ি ও বাজার ব্যবসায়ি সমিতিকে অবহিত করে থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই পিযুষ কান্তি দেবনাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শানুর আলী বলেন, ২০১৬ সালের ১৬ জুন তার এ দোকানঘরে দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছিল। চোরেরা ঘরের পিছনের পাকা দেয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। নাইটগার্ড স্থানীয় কঠালপুর গ্রামের আবদুল মনাফ বলেন, তিনি ঘটনারদিন রাতে পাহারা দেয়া অবস্থায় রাত প্রায় তিনটার দিকে বটেরখাল নদীতে তিনজন যুবককে দেখতে পেয়েছেন। তারা সবাই গোবিন্দগঞ্জবাজার ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দা। তাৎক্ষণিক চুরির বিষয়টি তিনি জানতে পারেন নি। তার ধারণা বটেরখালে দেখা যুবকরাই এ দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত করে কৌশলে পালিয়ে গেছে। বাজারের ব্যবসায়ি সমিতির উপদেষ্টা সদস্য আলকাছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুর রহমান এনাম, অর্থ সম্পাদক সিরাজ মিয়া ও মার্কেটের মালিক দিলোয়ার হোসেন নাজমুলসহ অন্যান্য ব্যবসায়িরা দু:খ প্রকাশ করে বলেন, চোর যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এ জন্য নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়িদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।