হাকালুকিতে পাখি শুমারী সম্পন্ন ॥ ৫১ প্রজাতির জলচর পাখি পাওয়া গেছে

40

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের ৪০টি বিলে জলচর পাখিশুমারি সম্পন্ন হয়েছে।
২৬-২৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও আই ইউ সি এন, বাংলাদেশ এই পাখিশুমারী সম্পন্ন করে। শুমারিতে অংশ নেন ড. পল থমসন, ইনাম আল হক, মোহাম্মদ ফয়সাল, ওমর শাহাদাত, সাকিব আহমেদ, বশীর আহমেদ ও তারেক অণু।
সি এন আর এস গভর্ন্যান্স এডভাইজার মো. মাজরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর এতথ্য নিশ্চিত করেন।
হাওরে সর্বমোট ৫১ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৯৩১টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে। পাখির সংখ্যা ২০১৮ ও ২০১৭র চেয়ে কম (যথাক্রমে ৪৫,১০০ ও ৫৮,২৮১) কিন্তু তার আগের তিন বছরের চেয়ে বেশী।
হাওরে হুমকির মুখে আছে এমন ৬ প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। মহাবিপন্ন – বেয়ারের-ভুতিহাঁস, সংকটাপন্ন-পাতি-ভুতিহাঁস ও বড়-গুটিঈগল এবং প্রায় সংকটাপন্ন মরচেরঙ-ভুতিহাঁস, ফুলুরি-হাঁস ও কালামাথা-কাস্তেচরা।
পাখি সমৃদ্ধ বিলের মধ্যে নাগুয়াধলিয়া বিল প্রথম দিন ৮ হাজার ৬৭৬টি পাখি। দ্বিতীয় দিন চ্যাতলা বিলে ৫হাজার ৩২৭টি পাখি। জলচর পাখিদের মধ্যে মাত্র ৪০৫টি সৈকতপাখি ছিল। পরোতি, বালিজুড়ি, নাগুয়াধলিয়া বিলে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখি পাওয়া গেছে।
হাওয়াবন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড় হাকালুকি হাওরের এই ৪০টি বিলে পাখিশুমারি অনুষ্ঠিত হয়।