হকার উচ্ছেদে যৌথভাবে মাঠে নেমেছে সিটি কপোরেশন ও প্রশাসন

28
সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসনের অভিযানের পর ফুটপাত থেকে মালামাল গাড়ী করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

স্টাফ রিপোর্টার :
এবার হকার উচ্ছেদে যৌথভাবে মাঠে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও প্রশাসন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। সিটি মেয়র আরিফুল হকের নেতৃত্বে নগরীর কীন ব্রীজ এলাকা, তালতলা, সুরমা পয়েন্ট, কোর্ট প্রাঙ্গণ, পুলিশ ফাঁড়ি, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার এলাকা পর্যন্ত হকারদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় বিভিন্ন মার্কেটের সামনের দোকানের মালামাল ফুটপাত থেকে অপসারন ছাড়াও ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ভাসমান দোকান ভ্যানগাড়ি উচ্ছেদ করা হলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবারও হকাররা ফসরা সাজিয়ে ফুটপাত দখল করে রাখে।
এ সময় মেয়র আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কিছুদিন পর পর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। ফুটপাত দখলের ফলে সব-সময়ই যানজট লেগে থাকে। তাদেরকে বারবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও আইন মানছেন না। অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে জনসাধরণের চলাচলের ফুটপাতের রাস্তা। স্থানীয় গণমাধ্যমে বারবার ফুটপাত দখলের সংবাদ প্রকাশের পর এবার কঠোর হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।

ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, মহানগর পুলিশের কমিশনার ফয়ছল মাহমুদ ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এর আগের দিন শুক্রবার মধ্যরাতে সিসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ও নগরবাসীকে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের সুযোগ করে দিতে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে ফের অভিযানে নামেন।
মধ্যরাতে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে জিন্দাবাজার হয়ে চৌহাট্টা, চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার, সুরমা পয়েন্ট, তালতলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাত দখল করে রাখা অর্ধশতাধিক ভ্যানগাড়ি ও বিপুল পরিমাণ আসবাবপত্র জব্দ করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমানসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।