প্রধানমন্ত্রী ২০ ডিসেম্বর সিলেট আসছেন : মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে সিলেট থেকে আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

20

 

কাজির বাজার ডেস্ক

চলতি মাসের ২০ তারিখ সিলেটে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করবে আওয়ামী লীগ। রবিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন। আগের নির্বাচনগুলোতেও তিনি সিলেট থেকে নির্বাচনের সভা শুরু করেছিলেন।
কাদের বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে বিএনপি। তাদের মুখে মানবাধিকারের বুলি আর শোভা পায় না। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। জিয়াউর রহমানের পর খলেদা জিয়া গুম-খুনের রাজনীতি করেছে। জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। অথচ এ নিয়ে তাদের লজ্জা নেই। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে দেওয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে আজ সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট তারা। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনে যে ১৩টি দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সে সময় হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত এবং সিলেটে সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী সফর শুরু করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।