নির্বাচনী ইশতেহারে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হোক

213

জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। এটি প্রথা। নির্বাচনী ইশতেহার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু দল বা জোট নয়, বেশির ভাগ মানুষও তা মনে করে; যদিও সবাই তা খতিয়ে দেখার ফুরসত পায় না। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা এসব নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন; কী আছে কী নেই, কতটুকু বাস্তবসম্মত সেসব ব্যাপারে কথা বলেন। ইশতেহারে রাজনৈতিক দলের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচনে জেতার পর তারা কী করতে চায়; সরকার গঠন করে কিভাবে তারা ব্যক্ত অঙ্গীকার ও প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চায়—এসব বিষয় ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বাস্তবায়ন সম্ভব এবং নতুন কিছু অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা আরো বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ব্লু ইকোনমি ও সমুদ্রসম্পদের আহরণ ও উন্নয়ন নতুন বিষয়। জাতীয় উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। এখন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করে এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। তবে দক্ষ জনপ্রশাসন ও জনহিতৈষী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়ে সন্দেহ করা যায়। জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা আকাশকুসুম কল্পনা নয়। নারী ও পুরুষের সমান মজুরি সমর্থনযোগ্য। নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার পরিসর বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করার কথাও বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় এখনো তারাই অগ্রবর্তী।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। এটা কথার কথা না হয়ে থাকলে ভালো উদ্যোগ বলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। ফ্রন্টের মূল দুই শরিকের অতীতের ভূমিকা খেয়াল করলে এ অঙ্গীকারে আস্থা রাখা কঠিন। সামরিক ও পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য সব সরকারি চাকরির বয়সসীমা তুলে দেওয়ার কথা এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত মনে হয় না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি নতুন বিষয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা নয়, সংশোধন করাই নাগরিক সমাজের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাবটি ভালো। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন কমানো ও সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। প্রাদেশিক সরকারের যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে দেখবে তারা। বেকার ভাতা চালুর অঙ্গীকার অতি মনোরঞ্জনী বিষয় বলেই মনে হয়।
ইশতেহার ঘোষণা করে নির্বাচনী রুটিনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাস্তবায়নে কে কতটুকু আন্তরিক থাকবে সেটা দেখার বিষয়। যারাই ক্ষমতায় যাক, মানুষের মূল প্রয়োজনের বিষয়গুলোতেই নজর দিতে হবে। ব্র্যাকের এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন সরকারের কাছে মানুষের চাহিদার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কর্মসংস্থান। এরপর রয়েছে পরিবহন ও শিক্ষার উন্নয়ন। সুশাসন, ন্যায়বিচারও দরকার। এসব পূরণের অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধের সময়ই করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থাকা উচিত।
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। এটি প্রথা। নির্বাচনী ইশতেহার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু দল বা জোট নয়, বেশির ভাগ মানুষও তা মনে করে; যদিও সবাই তা খতিয়ে দেখার ফুরসত পায় না। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা এসব নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন; কী আছে কী নেই, কতটুকু বাস্তবসম্মত সেসব ব্যাপারে কথা বলেন। ইশতেহারে রাজনৈতিক দলের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচনে জেতার পর তারা কী করতে চায়; সরকার গঠন করে কিভাবে তারা ব্যক্ত অঙ্গীকার ও প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চায়—এসব বিষয় ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বাস্তবায়ন সম্ভব এবং নতুন কিছু অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা আরো বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ব্লু ইকোনমি ও সমুদ্রসম্পদের আহরণ ও উন্নয়ন নতুন বিষয়। জাতীয় উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। এখন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করে এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। তবে দক্ষ জনপ্রশাসন ও জনহিতৈষী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়ে সন্দেহ করা যায়। জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা আকাশকুসুম কল্পনা নয়। নারী ও পুরুষের সমান মজুরি সমর্থনযোগ্য। নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার পরিসর বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করার কথাও বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় এখনো তারাই অগ্রবর্তী।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। এটা কথার কথা না হয়ে থাকলে ভালো উদ্যোগ বলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। ফ্রন্টের মূল দুই শরিকের অতীতের ভূমিকা খেয়াল করলে এ অঙ্গীকারে আস্থা রাখা কঠিন। সামরিক ও পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য সব সরকারি চাকরির বয়সসীমা তুলে দেওয়ার কথা এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত মনে হয় না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি নতুন বিষয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা নয়, সংশোধন করাই নাগরিক সমাজের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাবটি ভালো। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন কমানো ও সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। প্রাদেশিক সরকারের যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে দেখবে তারা। বেকার ভাতা চালুর অঙ্গীকার অতি মনোরঞ্জনী বিষয় বলেই মনে হয়।
ইশতেহার ঘোষণা করে নির্বাচনী রুটিনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাস্তবায়নে কে কতটুকু আন্তরিক থাকবে সেটা দেখার বিষয়। যারাই ক্ষমতায় যাক, মানুষের মূল প্রয়োজনের বিষয়গুলোতেই নজর দিতে হবে। ব্র্যাকের এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন সরকারের কাছে মানুষের চাহিদার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কর্মসংস্থান। এরপর রয়েছে পরিবহন ও শিক্ষার উন্নয়ন। সুশাসন, ন্যায়বিচারও দরকার। এসব পূরণের অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধের সময়ই করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থাকা উচিত।
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। এটি প্রথা। নির্বাচনী ইশতেহার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু দল বা জোট নয়, বেশির ভাগ মানুষও তা মনে করে; যদিও সবাই তা খতিয়ে দেখার ফুরসত পায় না। তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা এসব নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা করেন; কী আছে কী নেই, কতটুকু বাস্তবসম্মত সেসব ব্যাপারে কথা বলেন। ইশতেহারে রাজনৈতিক দলের আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচনে জেতার পর তারা কী করতে চায়; সরকার গঠন করে কিভাবে তারা ব্যক্ত অঙ্গীকার ও প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চায়—এসব বিষয় ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বাস্তবায়ন সম্ভব এবং নতুন কিছু অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা আরো বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ব্লু ইকোনমি ও সমুদ্রসম্পদের আহরণ ও উন্নয়ন নতুন বিষয়। জাতীয় উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। এখন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্বে সম্পৃক্ত করে এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। তবে দক্ষ জনপ্রশাসন ও জনহিতৈষী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গড়ে তোলার বিষয়ে সন্দেহ করা যায়। জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করা আকাশকুসুম কল্পনা নয়। নারী ও পুরুষের সমান মজুরি সমর্থনযোগ্য। নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার পরিসর বাড়ানো তাদের পক্ষে সম্ভব। ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করার কথাও বলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় এখনো তারাই অগ্রবর্তী।
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে। এটা কথার কথা না হয়ে থাকলে ভালো উদ্যোগ বলতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। ফ্রন্টের মূল দুই শরিকের অতীতের ভূমিকা খেয়াল করলে এ অঙ্গীকারে আস্থা রাখা কঠিন। সামরিক ও পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য সব সরকারি চাকরির বয়সসীমা তুলে দেওয়ার কথা এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত মনে হয় না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন ও সংসদে উচ্চকক্ষ সৃষ্টি নতুন বিষয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা নয়, সংশোধন করাই নাগরিক সমাজের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের জন্য স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাবটি ভালো। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন কমানো ও সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীকে মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। প্রাদেশিক সরকারের যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে দেখবে তারা। বেকার ভাতা চালুর অঙ্গীকার অতি মনোরঞ্জনী বিষয় বলেই মনে হয়।
ইশতেহার ঘোষণা করে নির্বাচনী রুটিনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাস্তবায়নে কে কতটুকু আন্তরিক থাকবে সেটা দেখার বিষয়। যারাই ক্ষমতায় যাক, মানুষের মূল প্রয়োজনের বিষয়গুলোতেই নজর দিতে হবে। ব্র্যাকের এক জরিপ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন সরকারের কাছে মানুষের চাহিদার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কর্মসংস্থান। এরপর রয়েছে পরিবহন ও শিক্ষার উন্নয়ন। সুশাসন, ন্যায়বিচারও দরকার। এসব পূরণের অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধের সময়ই করা হয়েছিল। আমরা মনে করি, সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থাকা উচিত।