জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগের একাংশের ঈদ পুনর্মিলনী ॥ আমরা ভিক্ষা চাই ডনকে নৌকা দিন

43

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে আ’লীগের ডন বলয়ের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর সদর বাজারে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত জাতীয় নেতা আলহাজ¦ আবদুস সামাদ আজাদের পুত্র কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী আজিজুস সামাদ ডন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য সৈয়দ সাবির মিয়া ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আ’লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ আবদুল মনাফের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাস্টার সিরাজ উদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, কলকলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাসিম, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান চৌধুরী সুফি মিয়া, পাটলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আংগুর মিয়া, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাবেক পাগলা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, সাবেক পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গফুর, জগন্নাথপুর উপজেলার আ.লীগ নেতা শাহিদুল ইসলাম বকুল, আবদুল কাদির, শাহিন তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর আবাব মিয়া, জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারী জাহির উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহির আলী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছালিক আহমদ পীর, হোসাইন আহমদ টিটু, ছাত্রলীগ নেতা তৈয়বুর রহমান সিতু, পৌর ছাত্রলীগ নেতা মিঠুন দেব ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, আপনি দয়া করে এবারের নির্বাচনে সামাদ পুত্র ডনকে নৌকা দিন। আমরা আপনার কাছে নৌকা ভিক্ষা চাই। আপনি ডনকে নৌকা দিলে আমরা আপনাকে এ আসন উপহার দেব।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুস সামাদ ডন বলেন, বাংলাদেশের অস্থিত্ব ও শেখ হাসিনার নাম এক সুতোয় গাঁথা। দেশের অস্থিত্ব রক্ষায় আবারো আ’লীগ সরকারকে নির্বাচিত করতে হবে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ ৩ নির্বাচনী আসনে আ’লীগের নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছে। তা পূরণ করতে হবে। জনতা যাকে চায়, তাকে নৌকা দিয়ে মানুষের কাছে পাঠালে বিজয় নিশ্চিত হবে। তা না হলে ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ অত্র অঞ্চলের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। তাই জনগণের মনোভাব বুঝতে হবে।