মেয়র হওয়ার স্বপ্ন স্মৃতির পাতা হয়ে গেলো ॥ না ফেরার দেশে চলে গেলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ফজলু চেয়ারম্যান

72

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবাইকে কাঁদিয়ে। চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান গোলাপগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভোটারদের। অনেক ভোটারদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহও করছিলেন প্রবিন ঐ চেয়ারম্যান। তার স্বপ্ন কেবল স্মৃতি পাতায় রয়ে গেলো। রাজনৈতিক জীবনে তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থক ছিলেন। জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্র আওয়ামীলীগের সাথে তার খুবই ভাল সম্পর্ক ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ঘটনার পর পরই প্রথমে তাকে সিলেট ওসমাসী মেডিকেল কালেজ হাসপাতালে কয়েক ঘন্টা চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ওমেকের আইসিসিউতে ও পরে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিসিউতে ভর্তি করা হয়। প্রায় সাড়ে ১৭ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৭০)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় নিহতের কফিনবাহী এ্যাম্বুলেন্স বাড়ীতে পৌছার পর স্বজনদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। দেখা দেয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন ভীড় করেন চেয়ারম্যান বাড়ীতে। সকলেই তাকে দেখার পর ছিলেন নিরব নিস্তব্ধ। চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান (৭০) তিনি পৌর ৫নং ওয়ার্ডের মৃত নুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন। আগামীকাল শনিবার বিকাল ৩টায় গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নিহতের জানাযা অনুষ্টিত হবে। চেয়ারম্যানের ছোট ভাই লন্ডনে থাকায় জানাযার সময় বাড়ানো হয়। উল্লেখ্য গত ৮ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টায় সাবেক ওই চেয়ারম্যান বিশেষ কাজে সিএনজি অটোরিক্সা রিজার্ভ করে সিলেটের উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। উপজেলার সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের ফুলবাড়ী ইউপির হেতিমগঞ্জ মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছা মাত্র গোলাপগঞ্জগামী একটি বালুবাহী ট্রাক ওই সিএনজিতে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ২০০ গজ দূরে টেনে নিয়ে যায়। ওই সিএনজিতে সাবেক ওই চেয়ারম্যান ছাড়াও সিএনজি চালক সুরুজ আলী (৩৮) সিএনজি চালকের বড় ভাই ড্রিমল্যান্ড পার্কের শ্রমিক তরমুজ আলী (৪০) ছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিএনজি চালক সুরুজ আলী ও পার্ক শ্রমিক সিএনজি চালকের বড় ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিন রাতেই নিহত দুইজনের ময়না তদন্ত শেষে রাত ১০টায় নিজ এলাকায় জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।